Wednesday, May 8, 2019

শিক্ষাবর্ষ - ২০১9-২০20 একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নিয়ম-কানুন এখানে।

আবেদন পদ্ধতিঃ অনলাইন ও এসএমএস এ আবেদন করা যাবে।
আবেদনের সময়সীমাঃ আবেদন প্রক্রিয়া ১২ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩ মে (যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে তাদের ও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে) পর্যন্ত।
আবেদন যাচাই বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তির সময়সীমাঃ ২৪ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত।
শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণের পর ফলাফল পরিবর্তিতদের ক্ষেত্রে আবেদনের সময়সীমাঃ ০৩ থেকে ০৪ জুন পর্যন্ত চলবে। 
১ম মেধা তালিকার ফলাফল প্রকাশঃ ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের ১ম মেধাক্রম ১০ জুন এসএমএস এবং স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড বা ওয়েবসাইটের পাশাপাশি লেখাপড়া বিডির এই লিঙ্কেও প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ১ম পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে): ১১ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত
২য় পর্যায়ের আবেদনের সময়সীমাঃ ১৯ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত (যেসকল শিক্ষার্থী ইতিপূর্বে ভর্তির জন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত (Selected) হয়নি –তারা কোন প্রকার ফি প্রদান ছাড়াই তাদের আবেদন update (নতুন কলেজ সংযোজন/বিয়োজন) করতে পারবে। যারা ইতিপূর্বে ভর্তির জন্য আবেদন করেনি অথবা ভর্তির জন্য নির্বাচিত (Selected) হয়েও ভর্তি নিশ্চায়ন করেনি –তারা আবেদন ফি ১৫০ টাকা (Teletalk / Rocket / Surecash এর মাধ্যমে) জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবে এবং যারা পূর্বে আবেদন ফি জমা দিয়েছে কিন্তু আবেদন করেনি, তারা ও আবেদন করতে পারবে।)
পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশঃ  ২১ জুন
২য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ২য় পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে): ২২ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত।
৩য় পর্যায়ের আবেদনের সময়সীমাঃ ২৪ জুন
পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশঃ  ২৫ জুন
৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশঃ ২৫ জুন
৩য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ৩য় পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে): ২৬ জুন পর্যন্ত
ভর্তির সময়সীমাঃ ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত
ক্লাশ শুরুর তারিখঃ ০১ জুলাই ২০১৯
৩য় পর্যায়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভর্তির সময়সীমাঃ –
অনলাইনে আবেদনঃ অনলাইনে এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে- www.xiclassadmission.gov.bd

অনলাইনে ভর্তি আবেদনে পছন্দের ০৫ থেকে ১০টি কলেজকে নির্বাচন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
আবেদন ফিঃ অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫ টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- টাকা আবার ১০টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- টাকা চার্জ করবে।

এসএমএসে আবেদনঃ আগের মতো টেলিটক থেকে এসএমএস পাঠিয়েও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এ জন্য প্রতি আবেদনের (প্রতি কলেজের জন্য এক আবেদন) জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সবার জন্যই একই নিয়মে আবেদন করতে হবে। 

শাখা নির্বাচনঃ বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যেকোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এবং ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।

ভর্তি ফিঃ
  • মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকূল্যে ১ হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি হবে না।
  • ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৫ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও বর্হিভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বর্হিভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।
  • কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনুমোদিত ফি’র বেশি নেওয়া যাবে না এবং অনুমোদিত সব ফি গ্রহণের ক্ষেত্রে যথাযথ রশিদ প্রদান করতে হবে।
  • দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতিঃ
  • প্রার্থী নির্বাচনে কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবেনা। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
  • বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১০০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে যদি বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত কোন আবেদনকারী থাকে তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তান, ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থী, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য, ০.৫ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এবং অপর ০.৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। যদি উপর্যুক্ত কোটায় প্রার্থী না পাওয়া যায় টবে সাধারণ কোটার শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে। শিক্ষা, বিকেএসপি এবং প্রবাসীদের সন্তান কোটার ক্ষেত্রে ভর্তির সময় উপযুক্ত প্রমানপত্র দাখিল করতে হবে।
  • সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
  • বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে। প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ ও রসায়নে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় নিতে হবে।
  • মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান জিপিএ নিষ্পত্তির জন্য পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত জিপিএ বিবেচনা করা হবে।
  • এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
  • স্কুল ও কলেজ সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানের স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তিই অনলাইন হবে।
  • কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে।
  • কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানকে তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে।
  • সকল কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের বিদ্যালয় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয় তথ্য শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ও সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয় ও বোর্ড নির্ধারিত তারিখের বাইরে নিজ ইচ্ছামাফিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০১৯

Monday, October 9, 2017

বাংলাদেশে আসতেছে ‘পেপাল’ ১৯ অক্টোবর

বাংলাদেশে ‘পেপাল’ আসছে ১৯ অক্টোবর
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা পেপাল সেবার জন্য অপেক্ষা করেছেন। অর্থ স্থানান্তরের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পেপাল বাংলাদেশে চালু হচ্ছে ১৯ অক্টোবর। বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭–এর দ্বিতীয় দিন পেপাল সেবা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ
প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, সোনালী, রূপালী ব্যাংকসহ নয়টি ব্যাংকে পেপাল সেবা পাওয়া যাবে। বেশ কিছুদিন ধরেই পেপাল কর্তৃপক্ষ বাজার যাচাইসহ নানা পরীক্ষা চালিয়েছে। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের কথা ভেবে বাংলাদেশে পুরোপুরি পেপাল সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা উপকৃত হবেন। এ ছাড়া রেমিট্যান্স আসার হার বাড়বে। ডিজিটাল ট্রানজেকশন বাড়বে।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘ডিজিটাল লেনদেন, ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছি আমরা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে এ ধরনের সেবা চালু করা গুরুত্বপূর্ণ। পেপাল চালু হওয়ায় নয়টি ব্যাংকের ১২ হাজার শাখা থেকে সেবা পাওয়ার সুযোগ হবে।’
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে পেপাল চালুর জন্য প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। বাংলাদেশে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার আহ্বানে সাড়া দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পেপাল-জুমের ক্যালিফোর্নিয়ার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পেপালের জুম প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জুলিয়ান কিং।
পরে মে মাসে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে পেপালের সেবা (জুম) চালু করে সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকটির সব কটি শাখায় সেবাটি দেওয়ার জন্য একটি পরিপত্র জারি করা হয়। এতে শুরুতে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণ ও বিতরণ কার্যক্রম চালুর কথা বলা হয়। তবে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ের অর্থ লেনদেনের সুবিধা ছিল না।
জুনাইদ আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পেপাল সেবাটি চালু করার চেষ্টা ছিল। এবারে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতার পালকে আরেকটি মুকুট যুক্ত হলো। এতে রেমিট্যান্স বাড়বে।
বাংলায় গুগলের সেবা ও ফেসবুকের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের দেশ আমাদের। এখানকার জনসংখ্যার বেশির ভাগ তরুণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বিশ্বে প্রশংসিত। গুগল-ফেসবুকের অনেক সেবা তাই বাংলাদেশে আসছে। ফেসবুক বাংলাদেশে ১০ হাজার তরুণকে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে। ২০২১ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তিতে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রার পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিমূলক কাজের অংশ এগুলো।’ সুত্র: প্রথম আলো!

Sunday, May 7, 2017

শিক্ষাবর্ষ - ২০১৭-২০১৮ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নিয়ম-কানুন এখানে।


finger
 শিক্ষাবর্ষ - ২০১৭-২০১৮  একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নিয়ম-কানুন এখানে


বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে। গতবারের মত এবারো এসএমএস এর পাশাপাশি অনলাইনেও অাবেদন করা যাবে তবে এবার ১০টি কলেজে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন, প্রার্থীর একইসঙ্গে ১০টি কলেজের মেধাক্রম প্রকাশ করা হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২০১৭-২০১৮  শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য।

আবেদন পদ্ধতিঃ অনলাইন ও এসএমএস এ অাবেদন করা যাবে।
আবেদনের সময়সীমাঃ  ০৯ মে থেকে শুরু হয়ে ২৬ মে পর্যন্ত। যারা ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে সে সকল শিক্ষার্থীদেরকেও একই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
অনলাইনে আবেদন : অনলাইনে এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে- www.xiclassadmission.gov.bd 
অনলাইনে ভর্তি আবেদনে পছন্দের ১০টি কলেজকে নির্বাচন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
আবেদন ফিঃ অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১ টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- টাকা চার্জ করবে আবার ১০টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- চার্জ করবে। অনলাইনে মাত্র একবারই আবেদন করা যাবে।
এসএমএসে প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে।
এসএমএসে আবেদন : আগের মতো টেলিটক থেকে এসএমএস পাঠিয়েও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এ জন্য প্রতি আবেদনের (প্রতি কলেজের জন্য এক আবেদন) জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সবার জন্যই একই নিয়মে আবেদন করতে হবে। 

fingerআপনার  কলেজের EIIN নম্বর জানা না থাকলে এখানে ক্লিক করে জেনে নিন।


ফলাফল প্রকাশঃ আবেদন প্রক্রিয়া শেষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিতদের তালিকা বা ফলাফল প্রকাশ হবে ০৫ জুন
শাখা নির্বাচনঃ বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যেকোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এবং ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।
ভর্তি ফিঃ
  • মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকূল্যে ১ হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি হবে না।
  • ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৫ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও বর্হিভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বর্হিভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।
  • কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনুমোদিত ফি’র বেশি নেওয়া যাবে না এবং অনুমোদিত সব ফি গ্রহণের ক্ষেত্রে যথাযথ রশিদ প্রদান করতে হবে।
  • দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতিঃ
  • প্রার্থী নির্বাচনে কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবেনা। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
  • কোনো স্কুল অ্যান্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব-স্ব বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করেই অবশিষ্ট শূন্য আসনে ভর্তি করাতে পারবে। তবে সব ভর্তিই অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে।
  • বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৮৯ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অবশিষ্ট আসনের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তান, ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থী, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
    আর নতুন করে এবার শূন্য ০.৫ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এবং অপর ০.৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
  • সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে। প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ ও রসায়নে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় নিতে হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান জিপিএ নিষ্পত্তির জন্য পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত জিপিএ বিবেচনা করা হবে।
  • এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে। স্কুল ও কলেজ সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবেন।কোনো কলেজে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে।
  • কলেজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না এবং ভর্তি করানো যাবে না। তবে সরকারি/ আদা সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের বদলিজনিত কারণে তাদের সন্তানদের ছাড়পত্র ইস্যু বা ভর্তি করতে পূর্বানুমতি নিতে হবে না।উল্লেখ্য, ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালার ব্যতয় ঘটলে বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজের এমপিও বাতিল এবং সরকারি কলেজের ক্ষেত্রে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।