Saturday, June 27, 2015

জেনে নিন বাংলাদেশী শীর্ষ ১০ ধনীর নাম এবং জানা অজানা অনেক তথ্য…?


বাংলাদেশেও রয়েছে অনেক ক্ষমতাধর এবং বিপুল ধনী ব্যক্তিবর্গ। যারা নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রের দ্বারা এই দেশকে অনেক বড় স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছেন। চলুন শীর্ষ ১০ বাংলাদেশী ধনী ব্যক্তির সাথে পরিচিত হওয়া যাক।

                                   ১. মূসা বিন শমসেরঃ

তিনি প্রিন্স মূসা নামে পরিচিত। তাকে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি বাণিজ্যের অগ্রদূত বলা হয়। তিনি ড্যাটকো গ্রুপের এর মালিক। তিনি প্রায় ৯৫০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।

২. সালমান এফ রহমানঃ
বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মালিক। তিনি প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
৩. আহমেদ আকবর সোবহানঃ
তিনি হচ্ছেন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মালিক। তিনি প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
৪. এম এ হাশেমঃ
তিনি পারটেক্স গ্রুপ ও ইউসিবিএল ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তিনি প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
৫. আজম জে চৌধুরীঃ
তিনি ইস্ট-কোস্ট গ্রুপের মালিক, প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং মবিল যমুনা লুব্রিক্যান্টের সোল এজেন্ট। তিনি প্রায় ৪১০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
     ৬. গিয়াস উদ্দিন আল মামুনঃ
তিনি তারেক জিয়ার বন্ধু। তিনি রিয়েল স্টেট, হোটেল ও মিডিয়া ব্যবসায়ী।
৭. রাগিব আলীঃ
তিনি চা উৎপাদন ব্যাবসায় সফল একজন ব্যাবসায়ী। তিনি সাউথ ইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তিনি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
                                                             ৮. শামসুদ্দিন খানঃ
তিনি একে খান এন্ড কোম্পানি লিঃ-এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। তিনিও প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
৯. ইকবাল আহমেদঃ
তিনি সিলেটের একজন ব্যাবসায়ী। সামুদ্রিক খাবার ব্যবসায় তিনি সফল। তিনি সীমার্ক গ্রুপ লিবকো ব্রাদার লিঃ-এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। তিনি প্রায় ২৫০-২৯০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
১০. সাইফুল ইসলাম কামালঃ
তিনি নাভানা লিঃ ও নাভানা সিএনজি লিঃ-এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। তিনিও প্রায় ২৯০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।
 সূত্র : TechTunes.

ইন্টারনেট-ইমেলের দিন শেষ!


এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ইন্টারনেট, ইমেলের দিন শেষ।  এবার আসছে ব্রেন মেল। কোনো আইডি, পাসওয়ার্ড লাগবে না।  কাউকে কোনো বার্তা দিতে হলে জাস্ট ভাবুন।  নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে সেই খবর।

অবাক হওয়ার কিছু নেই।  সাম্প্রতিক এক গবেষণা বাস্তব রূপ নিলে আপনার মাথায় কী চলছে তা বুঝে নেবেন অন্য কেউ।  বিজ্ঞানী পরিভাষায় যাকে বলে মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কে সংযোগস্থাপন।

বার্সেলোনার স্টারল্যাবের CEO তথা ব্রেন টু ব্রেন কমিউনিকেশন প্রজেক্টের শীর্ষ কর্তা জুলিয়ো রুফিনির দাবি, এই প্রথম তিনি দুই ব্যক্তির ওপর তার গবেষণার সফল প্রয়োগ করেছেন।  কেরলের এক ব্যক্তির মস্তিষ্ক নাকি কম্পিউটারের মাধ্যমে যোজন দূরের এক ব্যক্তির মগজের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে।

ব্রেনের সঙ্গে কম্পিউটার যুক্ত করে ওই ব্যক্তিকে কল্পনা করতে বলা হয় যে, তিনি তার হাত অথবা পা নাড়াচ্ছেন।  যখন তিনি পা নাড়ানোর কথা ভাবছেন, তখন সেটাকে শূন্য হিসেবে লিখে নেয় কম্পিউটার।  আর যখন হাত নাড়ার কথা ভাবেন তখন সেটাকে ১ হিসেবে লিখে নেয়।  

এভাবে বারবার করার মাধ্যমে সেই বার্তা পাঠানো হয় ফ্রান্সে বসে থাকা এক ব্যক্তির ওপর।  ব্রেন টু ব্রেন কমিউনিকেশনে রিসিভারের কাজ করেছেন তিনি। একটি রোবটের মাধ্যমে ফ্রান্সে থাকা সেই রিসিভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

সেই রোবট রিসিভারের মস্তিষ্কে খুব সামান্য পরিমাণে ইলেকট্রিকের শক দেয়। যিনি বার্তা পাঠাচ্ছেন তিনি যদি হাত নাড়ার কথা ভাবেন তাহলে রোবটের মাধ্যমে রিসিভার দেখে, তার মাথায় আলো জ্বলে উঠছে।  চোখ বন্ধ থাকলেও তার এই অনুভূতি হয়।  আর যখন কেরলের ব্যক্তি পা নাড়ানোর কথা ভাবেন, তখন ফ্রান্সের রিসিভারের মাথায় কোনো আলো জ্বলার অনুভূতি হবে না।

এই গোটা প্রক্রিয়া শুনতে সহজ মনে হলেও আদতে তা নয়।  এই প্রক্রিয়া চলাকালীন যিনি বার্তা পাঠাচ্ছেন তার মাথায় অন্য কোনো চিন্তা এসে গেলে গোটা প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে।  এজন্য ওই ব্যক্তির ওপর এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করার আগে তাকে রীতিমতো ভাবনা স্থির রাখার অনুশীলন চালাতে হয়েছে।

এর আগেও এ ধরনের সংযোগ স্থাপনের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।  গত বছর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিশেষজ্ঞ দাবি করেছিলেন, একটি মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে একটি ইঁদুরের লেজের মধ্যে তারা সংযোগস্থাপন করেছেন। ব্যক্তিটি যেরকম ভাববেন, তার ভিত্তিতেই ইঁদুরের লেজটিতে নড়াচড়া লক্ষ্য করা যাবে।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্রেন টু ব্রেন কমিউনিকেশনের ওপর গবেষণা হচ্ছে।  তবে সাফল্য এখনো আসেনি।  রুফিনির দাবিকে মানতে চায়নি অনেকেই।  কেউ কেউ তার এ দাবিকে নতুন একটি স্টান্ট হিসেবে কটাক্ষ করেছেন।  যদিও নিজের লক্ষ্যে অবিচল রুফিনি।  তিনি ভাবনা, বিচারবুদ্ধি, সংবেদনশীলতার মতো বিষয়গুরোও দুই মস্তিষ্কের মধ্যে আদান-প্রদানের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সে যাই হোক, মস্তিষ্কের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ স্থাপন সত্যিই সম্ভব হলে অসত্‍‌ উদ্দেশ্যে মগজ ধোলাই বাস্তব রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।  তথ্যসূত্র : এই সময় 

যে ভেষজ উদ্ভিদ যৌবন ধরে রাখে


এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: চটজলদি রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা অনেকেই অ্যালোপ্যাথির দ্বারস্থ হয়ে যাই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড জ্বর, ডায়রিয়া, কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়। অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু ভেষজ গাছ রয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়, আমরা জানি না। অনেক সময় জেনেও, বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।

থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা। পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে। কথায় বলে, পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। চিকিত্‍সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেতে পারলে, পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়। দেখে নেওয়া যাক, যৌবন ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি।

১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।

২. শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।

৩. থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৪. থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।

৫. মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।

৬. পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে, থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে, ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।

৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।

৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি

পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।
তথ্য সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস।

Friday, June 26, 2015

অনিবার্য কারণবশতঃ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির


For
XI CLASS ADMISSION (SESSION 2015 - 2016)
অনিবার্য কারণবশতঃ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ফলাফল ২৫ জুন ২০১৫ এর পরিবর্তে ২৬ জুন ২০১৫ তারিখ রাত ১১:৩০ মিঃ প্রকাশিত হবে৷

 



ওয়ান টেরাবাইট গতি নিয়ে আসছে ফাইভ-জি

খুব বেশি দিন হয়নি থ্রি-জি গতির ইন্টানেটের বয়স। ১৯৮০র দশকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা থ্রি-জি প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়। উদ্ভাবনের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় পঞ্চাশটি দেশে ইন্টারনেট পরিচালিত হচ্ছে এই প্রযুক্তিতে। থ্রি-জি সেবা সমগ্র পৃথিবীতে বিস্তৃত হওয়ার আগেই প্রযুক্তিবিদরা নিয়ে আসেন আরো দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা ফোর-জি। বর্তমানে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এই ফোর-জি গতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) ফোর-জি টপকে ফাইভ-জি গতির ইন্টারনেট আনার চূড়ান্ত ঘোষণা জানিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সানদিয়াগোতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় আইটিইউ। এবং সম্মেলনে ১২ সদস্যদলের একটি দল এই ফাইভ-জি নিয়ে একটি খসড়াও তৈরি করেন। এই খসড়াতে পুরো পৃথিবীকে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে আইটিইউ মুখপাত্র মিডিয়াকে জানান, এটি একটি দীর্ঘমেয়দী পরিকল্পনা। আমরা চাচ্ছি চলতি মাস থেকেই ফাইভ-জি নিয়ে কাজ করতে। চলতি বছরের অক্টোবরে বিশ্বের ১৯৩টি টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনায় বসা হবে। সেখানে যদি সবাই ফাইভ-জি নিয়ে ঐক্যমতে আসে তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই পৃথিবী উপভোগ করতে পঞ্চম প্রজন্মের গতির ইন্টারনেট।
উল্লেখ্য, বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে যে ফোরজি গতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি চালু আছে সেটি সর্বোচ্চ ১জিবিপিএস পর্যন্ত স্পিড দিতে সক্ষম হয়। আর ফাইভজি প্রযুক্তির ইন্টারনেটের গতি হবে এ স্পিডের প্রায় বিশগুন বা এক টেরাবাইট।

Thursday, June 25, 2015

এইস,এস,সি এডমিশন রিজাল্ট এখানে

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সূচি চূড়ান্ত

বাংলাদেশ- দক্ষিণ আফ্রিকার আসন্ন সিরিজের সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। জুলাই- আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য সিরিজে দুটি করে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট এবং তিনটি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই। নিচে সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি দেওয়া হলো।

সূচি:

ম্যাচতারিখভেন্যুশহর
প্রথম টি-টোয়েন্টি৫ জুলাই, রোববারশেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামঢাকা
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি৭ জুলাই, মঙ্গলবা
প্রথম ওয়ানডে১০ জুলাই, শুক্রবার
দ্বিতীয় ওয়ানডে১২ জুলাই, রোববার
তৃতীয় ওয়ানডে১৫ জুলাই, বুধবারজহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামচট্টগ্রাম
প্রথম টেস্ট২১- ২৫ জুলাই
দ্বিতীয় টেস্ট৩০ জুলাই- ৩ আগস্টশেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামঢাকা

স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝে কথকপথন

ফজরের আজান হচ্ছেঃ
স্ত্রীঃ এই উঠো, আজান হচ্ছে ,মসজিদে যাবে উঠো ....
স্বামীঃ হু আরেক টু ঘুমাই না ...
.
স্ত্রীঃ হা ঘুমাও তুমি আরাম করে আর
আমি যাচ্ছি পানি আনতে ...
তোমার
মুখে ঢালবো ...
.
স্বামীঃ আরে আরে এই দেখো আমি উঠে
গিয়েছি
স্বামী ঘুম থেকে জাগলেন ,
আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ
পাকের শোকর , যিনি সুস্থ স্বাভাবিক
ভাবে মরনের
কাছাকাছি থেকে আবার জীবিত করলেন ...
স্ত্রী মুচকি হেসে, সালাম দিলেন
স্বামীকে,
অতঃপর
জানতে চাইলেন ,
স্ত্রীঃ ঘুম কেমন হলো ?
স্বামীঃ হুম সেরকম দারুন ঘুম হয়েছে , স্বপ্নও
দেখেছি একটা
স্ত্রীঃ ইশ তাই বুঝি ? কি
দেখলে ?
স্বামীঃ দেখেছি হাফ ডজন
পিচ্ছি বাচ্চা আমাকে আব্বু আব্বু
আর তোমাকে আম্মু আম্মু বলে চিৎকার
করে ডাকছে ...
স্ত্রীঃ ইশ হয়েছে অনেক দুষ্টামি , এখন উঠো
জলদি ...
স্বামীঃ ইশ দেখো কিভাবে ভাগিয়ে দেয়
স্ত্রীঃ ভাগবে নাকি পা ধরে টেনে ফেলে
দিবো নিচে ??
স্বামীঃ ইশ দেখো পাগলী রেগে গিয়েছে
...
এই
নেও উঠে গেলাম
স্বামী ওযু করে এসে রেডি হয়ে নামাজের
উদ্দেশে বের
হচ্ছিলেন ...
স্ত্রী দরজা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন ...
স্বামীঃ তুমি অনেক লক্ষ্মী একটা বউ ,
সেটা জানো ??
স্ত্রীঃ হু হয়েছে দেরী হয়ে যাচ্ছে ...
স্বামীঃ এভাবে রোজ
বকা ঝকা করে আমাকে নামাজে পাঠিও
কেমন ?
স্ত্রীঃ তারপরেও নিজ
থেকে উঠে যাবেনা তাইনা ?
স্বামীঃ সকাল সকাল তোমার ডাকে ঘুম
ভাঙবে তারপর তোমার তাড়া খেয়ে নামাজ
পড়তে যাবো ,
আর
এর জন্যই
আমি কখনও নিজ থেকে উঠবো না
স্ত্রীঃ তোমাকে নামাজের জন্য
রেডি করে পাঠাতে আমার
অনেক ভাল লাগে
স্বামীঃ এই জন্য তুমিলক্ষ্মী
স্ত্রীঃ দেরী হচ্ছে কিন্তু জলদি যাও
আমি চা রেডি করি ...
স্বামীঃ আল্লাহ্ হাফেজ
স্ত্রীঃ ফি আমানিল্লাহ
তারপর স্বামী মুচকি হাসি দিয়ে নামাজের
উদ্দেশে অন্ধকার
পথ বেঁয়ে হেঁটে যায় আর মনে মনে বলে ''
হে আল্লাহ্ , কোনও
ভাবেই আমি তোমার শোকর আদায় করে
শেষ
করতে পারবোনা ,
কিসের বিনিময়ে আমাকে এমন জীবন
সঙ্গিনী দিয়েছ আমি তাও
জানিনা
''
দরজা আটকিয়ে স্ত্রী জায়নামাজে বসে
মুনাজাত
শুরু করে ''
হে আল্লাহ্ , এই মানুষটার সাথেই যেন
জীবনের
শেষ মুহূর্ত টা কাটে ,
আর আখেরাতের শুরুটাও যেও হয় এই
মানুষটার
হাত ধরেই ''

ইসলামিক কবিতা


সকালবেলা কুরঅান পড়ো
হুকুম কেনো মানো না
কুরঅান দিয়ে নামায পড়ো
সমাজ কেনো গড়ো না!

রোযার বিধান মানো তুমি
জিহাদ কেনো মানো না
দ্বীন কায়েমের অান্দোলনে 
শরীক কেনো থাকো না!

নফল নিয়ে ব্যস্ত এমন
ফরয কেনো মানো না
অাল কুরঅানের হেফাজতে
লড়াই কেনো করো না!

এইস,এস,সি এডমিশন রিজাল্ট এখানে.........



Ministry of Education

Smart Admission System
For
XI CLASS ADMISSION
(SESSION 2015 - 2016)
The XI class admission result will be published on 25 June 2015 at 23:30 (11:30 PM)
 


আগস্টের মধ্যেই নাগরিকদের হাতে স্মার্ট কার্ড


চলতি বছরের আগস্টের মধ্যেই নাগরিকদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তথা স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া প্ররিকল্পনা করছে ইসি । আর এ জন্য সব রকম প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট কার্ড দেওয়ার জন্য মেশিন বাসানো না হলেও অন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মেশিন ইনস্টল করার কাজও চলছে। সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত। স্মার্ট কার্ড দ্রুতই নাগরিকদের মধ্যে সরবরাহ হবে।
সচিব বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এক্ষেত্রে ১৫ বছর বয়সীদেরও কার্যক্রমে সংযুক্তের চিন্তা করছি আমরা । আগামী বৃহস্পতিবার বা রোববার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জানিয়ে দেওয়া হবে।

Tuesday, June 23, 2015

উইন্ডোজ ১০ ফ্রি পাবেন যেভাবে

উইন্ডোজ ১০ ফ্রি পাবেন যেভাবে
উইন্ডোজ ৭ ও ৮.১ ব্যবহারকারীদের বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড করার সুযোগ দিচ্ছে মাইক্রোসফট।উইন্ডোজ ১০ এর চূড়ান্ত সংস্করণটি বিনা মূল্যে হালনাগাদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মাইক্রোসফট। শর্ত হচ্ছে, যাঁরা উইন্ডোজ ১০ এর প্রিভিউ সংস্করণটি পরীক্ষা করবেন কেবল তাঁরাই বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০ পাবেন। এটা মনে রাখতে হবে যে যাঁরা আসল উইন্ডোজ ৭ বা উইন্ডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন তাঁরাই কেবল এই হালনাগাদ পাবেন। অর্থাৎ পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো সুখবর নেই।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উইন্ডোজ ১০ এর সর্বশেষ প্রিভিউ (বিল্ড ১০১৩০) সংস্করণ মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তাঁদের মেশিনে ডাউনলোড করবেন এবং উইন্ডোজ ইনসাইডার প্রোগ্রামের জন্য নিবন্ধন করবেন তাঁরা বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০ এর চূড়ান্ত সংস্করণ পেয়ে যাবেন।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন প্রিভিউ সংস্করণটি ডাউনলোড করে নিলে বিনা মূল্যে যে উইন্ডোজ ১০ মিলবে সেটি আসল সফটওয়্যার হবে।
মাইক্রোসফটের কর্মকর্তা গ্যাব আল টুইটারে একটি টুইটের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া একটি ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে মাইক্রোসফট তাদের পরীক্ষামূলক সংস্করণ নিয়ে কিছু পরিবর্তন আসছে বলেও উল্লেখ করেছে।
২৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত করবে মাইক্রোসফট। ১৯ জুন মাইক্রোসফট এক ব্লগ পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে লিখেছে, প্রিভিউ সংস্করণ পরীক্ষা করে দেখলে তাঁদের বিনা মূল্যে আসল উইন্ডোজ দেওয়া হবে।
এর আগে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদেরও বিনা মূল্যে উইন্ডোজ দেওয়ার কথা বলেছিল মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ। পরে গত মাসে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে পাইরেটেড উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের অর্থ পরিশোধ করে কীভাবে আসল সফটওয়্যার কিনতে হবে সে নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলেছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।
বিস্তারিত জানার জন্য যেতে পারেন মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইটে (http://www.microsoft.com/en-us/windows)

হাদিস শরিফ

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি আমার বান্দার ধারণার পাশে থাকি। (অর্থাৎ সে যদি ধারণা রাখে যে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন, তার তওবা কবুল করবেন, বিপদ আপদ থেকে উদ্ধার করবেন, তাহলে তাই করি।) আর আমি তার সাথে থাকি, যখন সে আমাকে স্মরণ করে। সুতরাং সে যদি তার মনে আমাকে স্মরণ করে, তাহলে আমি তাকে আমার মনে স্মরণ করি, সে যদি কোন সভায় আমাকে স্মরণ করে, তাহলে আমি তাকে তাদের চেয়ে উত্তম ব্যক্তিদের (ফিরিশতাদের) সভায় স্মরণ করি।” রিয়াদুস স্বালেহীনঃ ২৮/১৪৪৩।
[সহীহুল বুখারী ৭৪০৫, ৭৫০৫, ৭৫৩৬, ৭৫৩৬, ৭৫৩৭, মুসলিম ২৬৭৫, তিরমিযী ২৩৮৮, ৩৬০৩, ইবনু মাজাহ ৩৮২২, আহমাদ ৭৩৭৪, ৮৪৩৬, ৮৮৩৩, ৯০০১, ৯০৮৭, ৯৩৩৪, ৯৪৫৭, ১০১২০, ১০২৪১, ১০৩০৬, ১০৩২৬, ১০৪০৩, ১০৫২৬, ১০৫৮৫, ২৭২৭৯, ২৭২৮৩]

হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)-এর কাহিনী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী হিসাবে আল্লাহ পাক আদম (আলাইহিস সালাম)-কে নিজ দু’হাত দ্বারা সরাসরি সৃষ্টি করেন (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)। মাটির সকল উপাদানের সার-নির্যাস একত্রিত করে আঠালো ও পোড়ামাটির ন্যায় শুষ্ক মাটির তৈরী সুন্দরতম অবয়বে রূহ ফুঁকে দিয়ে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেছেন।[1]
অতঃপর আদমের পাঁজর থেকে তাঁর স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করেন।[2] আর এ কারণেই স্ত্রী জাতি স্বভাবগত ভাবেই পুরুষ জাতির অনুগামী ও পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট। অতঃপর স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে একই নিয়মে মানববংশ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। কুরআন-এর বর্ণনা অনুযায়ী প্রথম দিন থেকেই মানুষ পূর্ণ চেতনা ও জ্ঞান সম্পন্ন সভ্য মানুষ হিসাবেই যাত্রারম্ভ করেছে এবং আজও সেভাবেই তা অব্যাহত রয়েছে। অতএব গুহামানব, বন্যমানব, আদিম মানব ইত্যাদি বলে অসভ্য যুগ থেকে সভ্য যুগে মানুষের উত্তরণ ঘটেছে বলে কিছু কিছু ঐতিহাসিক যেসব কথা শুনিয়ে থাকেন, তা অলীক কল্পনা ব্যতীত কিছুই নয়। সূচনা থেকে এযাবত এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় মানুষ কখনোই মানুষ ব্যতীত অন্য কিছু ছিল না। মানুষ বানর বা উল্লুকের উদ্বর্তিত রূপ বলে ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) যে ‘বিবর্তনবাদ’ (Theory of Evolution) পেশ করেছেন, তা বর্তমানে একটি মৃত মতবাদ মাত্র এবং তা প্রায় সকল বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
প্রথম মানুষ আদি পিতা আদম (আঃ)-কে আল্লাহ সর্ব বিষয়ের জ্ঞান ও যোগ্যতা দান করেন এবং বিশ্বে আল্লাহর খেলাফত পরিচালনার মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন। সাথে সাথে সকল সৃষ্ট বস্ত্তকে করে দেন মানুষের অনুগত (লোকমান ৩১/২০) ও সবকিছুর উপরে দেন মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব (ইসরা ১৭/৭০)। আর সেকারণেই জিন-ফিরিশতা সবাইকে মানুষের মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আদমকে সিজদা করার আদেশ দেন। সবাই সে নির্দেশ মেনে নিয়েছিল। কিন্তু ইবলীস অহংকার বশে সে নির্দেশ অমান্য করায় চিরকালের মত অভিশপ্ত হয়ে যায় (বাক্বারাহ ২/৩৪)। অথচ সে ছিল বড় আলেম ও ইবাদতগুযার। সেকারণ জিন জাতির হওয়া সত্ত্বেও সে ফিরিশতাদের সঙ্গে বসবাস করার অনুমতি পেয়েছিল ও তাদের নেতা হয়েছিল।[3] কিন্তু আদমের উচ্চ মর্যাদা দেখে সে ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ে। ফলে অহংকার বশে আদমকে সিজদা না করায় এবং আল্লাহ ভীতি না থাকায় সে আল্লাহর গযবে পতিত হয়। এজন্য জনৈক আরবী কবি বলেন,
لوكان للعلم شرف من دون التقى
لكان أشرف خلق الله إبليسُ
‘যদি তাক্বওয়া বিহীন ইলমের কোন মর্যাদা থাকত,
তবে ইবলীস আল্লাহর সৃষ্টিকুলের সেরা বলে গণ্য হ’ত’।
শয়তানের সৃষ্টি ছিল মানুষের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ :
ইবলীসকে আল্লাহ মানুষের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ সৃষ্টি করেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তার হায়াত দীর্ঘ করে দেন। মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুৎ করার জন্য ও তাকে ধোঁকা দেওয়াই শয়তানের একমাত্র কাজ। ‘সে মানুষকে বলে কুফরী কর’। কিন্তু যখন সে কুফরী করে, তখন শয়তান বলে ‘আমি তোমার থেকে মুক্ত। আমি বিশ্বপ্রভু আল্লাহ্কে ভয় করি’ (হাশর ৫৯/১৬)। অন্যদিকে যুগে যুগে নবী-রাসূল ও কিতাব পাঠিয়ে আল্লাহ মানুষকে সত্য পথ প্রদর্শনের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখেন (বাক্বারাহ ২/২১৩)। আদম থেকে শুরু করে শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত এক লক্ষ চবিবশ হাযার পয়গাম্বর দুনিয়াতে এসেছেন[4] এবং বর্তমানে সর্বশেষ এলাহীগ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ধারক ও বাহক মুসলিম ওলামায়ে কেরাম শেষনবীর ‘ওয়ারিছ’ হিসাবে[5] আল্লাহ প্রেরিত অহীর বিধান সমূহ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেবার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন (মায়েদাহ ৫/৬৭)। পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংস তথা ক্বিয়ামতের অব্যবহিত কাল পূর্ব পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে। শেষনবীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী পৃথিবীর এমন কোন বস্তি ও ঝুপড়ি ঘরও থাকবে না, যেখানে আল্লাহ ইসলামের বাণী পৌঁছে দেবেন না।[6] এতদসত্ত্বেও অবশেষে পৃথিবীতে যখন ‘আল্লাহ’ বলার মত কোন লোক থাকবে না, অর্থাৎ প্রকৃত তাওহীদের অনুসারী কোন মুমিন বাকী থাকবে না, তখন আল্লাহর হুকুমে প্রলয় ঘনিয়ে আসবে এবং ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।[7] মানুষের দেহগুলি সব মৃত্যুর পরে মাটিতে মিশে যাবে। কিন্তু রূহগুলি স্ব স্ব ভাল বা মন্দ আমল অনুযায়ী ‘ইল্লীন’ অথবা ‘সিজ্জীনে’ অবস্থান করবে (মুত্বাফফেফীন ৮৩/৭, ১৮)। যা ক্বিয়ামতের পরপরই আল্লাহর হুকুমে স্ব স্ব দেহে পুনঃপ্রবেশ করবে (ফজর ৮৯/২৯) এবং চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশের জন্য সকল মানুষ সশরীরে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দরবারে নীত হবে (মুত্বাফফেফীন ৮৩/৪-৬)।
মানুষের ঠিকানা হ’ল তিনটি : ১- দারুদ দুনিয়া। অর্থাৎ যেখানে আমরা এখন বসবাস করছি ২- দারুল বরযখ। অর্থাৎ মৃত্যুর পরে কবরের জগত। ৩- দারুল ক্বারার। অর্থাৎ ক্বিয়ামতের দিন শেষ বিচার শেষে জান্নাত বা জাহান্নামের চিরস্থায়ী ঠিকানা।
অতএব পৃথিবী হ’ল মানুষের জন্য সাময়িক পরীক্ষাগার মাত্র। জান্নাত থেকে নেমে আসা মানুষ এই পরীক্ষাস্থলে পরীক্ষা শেষে সুন্দর ফল লাভে পুনরায় জান্নাতে ফিরে যাবে, অথবা ব্যর্থকাম হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। অতঃপর সেখানেই হবে তাদের সর্বশেষ যাত্রাবিরতি এবং সেটাই হবে তাদের চূড়ান্ত ও চিরস্থায়ী ঠিকানা। আল্লাহ বলেন, ‘মাটি থেকেই আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি। ঐ মাটিতেই তোমাদের ফিরিয়ে নেব। অতঃপর ঐ মাটি থেকেই আমরা তোমাদেরকে পুনরায় বের করে আনব’ (ত্বোয়াহা ২০/৫৫)। অতঃপর বিচার শেষে কাফেরদেরকে হাঁকিয়ে নেওয়া হবে জাহান্নামের দিকে এবং মুত্তাক্বীদের নেওয়া হবে জান্নাতে (যুমার ৩৯/৬৯-৭৩)। এভাবেই সেদিন যালেম তার প্রাপ্য শাস্তি ভোগ করবে এবং মযলূম তার যথাযথ প্রতিদান পেয়ে ধন্য হবে। সেদিন কারু প্রতি কোনরূপ অবিচার করা হবে না (বাক্বারাহ ২/২৮১)।
উল্লেখ্য যে, হযরত আদম (আঃ) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ১০টি সূরায় ৫০টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।[8]
এক্ষণে আদম সৃষ্টির ঘটনাবলী কুরআনে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, তার আলোকে সার-সংক্ষেপ আমরা তুলে ধরার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।
আদম সৃষ্টির কাহিনী :
আল্লাহ একদা ফেরেশতাদের ডেকে বললেন, আমি পৃথিবীতে ‘খলীফা’ অর্থাৎ প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই। বল, এ বিষয়ে তোমাদের বক্তব্য কি? তারা (সম্ভবতঃ ইতিপূর্বে সৃষ্ট জিন জাতির তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে) বলল, হে আল্লাহ! আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে আবাদ করতে চান, যারা গিয়ে সেখানে ফাসাদ সৃষ্টি করবে ও রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা সর্বদা আপনার হুকুম পালনে এবং আপনার গুণগান ও পবিত্রতা বর্ণনায় রত আছি। এখানে ফেরেশতাদের উক্ত বক্তব্য আপত্তির জন্য ছিল না, বরং জানার জন্য ছিল। আল্লাহ বললেন, আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না (বাক্বারাহ ২/৩০)। অর্থাৎ আল্লাহ চান এ পৃথিবীতে এমন একটা সৃষ্টির আবাদ করতে, যারা হবে জ্ঞান ও ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন এবং নিজস্ব বিচার-বুদ্ধি ও চিন্তা-গবেষণা সহকারে স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে আল্লাহর বিধান সমূহের আনুগত্য করবে ও তাঁর ইবাদত করবে। ফেরেশতাদের মত কেবল হুকুম তামিলকারী জাতি নয়।
খলীফা অর্থ :
এখানে ‘খলীফা’ বা প্রতিনিধি বলে জিনদের পরবর্তী প্রতিনিধি হিসাবে বনু আদমকে বুঝানো হয়েছে, যারা পৃথিবীতে একে অপরের প্রতিনিধি হবে (ইবনু কাছীর)। অথবা এর দ্বারা আদম ও পরবর্তী ন্যায়নিষ্ঠ শাসকদের বুঝানো হয়েছে, যারা জনগণের মধ্যে আল্লাহর আনুগত্য ও ইনছাফপূর্ণ শাসক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করবে। কেননা ফাসাদ সৃষ্টিকারী ও অন্যায় রক্তপাতকারী ব্যক্তিরা আল্লাহর প্রতিনিধি নয় (ইবনু জারীর)। তবে প্রথম ব্যাখ্যাই অগ্রগণ্য, যা ফেরেশতাদের জবাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন প্রতিনিধি আপনি সৃষ্টি করবেন, যারা পূর্ববর্তী জিন জাতির মত পৃথিবীতে গিয়ে ফাসাদ ও রক্তপাত ঘটাবে। বস্ত্ততঃ ‘জিন জাতির উপর ক্বিয়াস করেই তারা এরূপ কথা বলে থাকতে পারে’ (ইবনু কাছীর)।
অতঃপর আল্লাহ আদমকে সবকিছুর নাম শিক্ষা দিলেন। ‘সবকিছুর নাম’ বলতে পৃথিবীর সূচনা থেকে লয় পর্যন্ত ছোট-বড় সকল সৃষ্টবস্ত্তর ইল্ম ও তা ব্যবহারের যোগ্যতা তাকে দিয়ে দেওয়া হ’ল।[9] যা দিয়ে সৃষ্টবস্ত্ত সমূহকে আদম ও বনু আদম নিজেদের অনুগত করতে পারে এবং তা থেকে ফায়েদা হাছিল করতে পারে। যদিও আল্লাহর অসীম জ্ঞানরাশির সাথে মানবজাতির সম্মিলিত জ্ঞানের তুলনা মহাসাগরের অথৈ জলরাশির বুক থেকে পাখির ছোঁ মারা এক ফোঁটা পানির সমতুল্য মাত্র।[10] বলা চলে যে, আদমকে দেওয়া সেই যোগ্যতা ও জ্ঞান ভান্ডার যুগে যুগে তাঁর জ্ঞানী ও বিজ্ঞানী সন্তানদের মাধ্যমে বিতরিত হচ্ছে ও তার দ্বারা জগত সংসার উপকৃত হচ্ছে। আদমকে সবকিছুর নাম শিক্ষা দেওয়ার পর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য আল্লাহ তাকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করলেন। কুরআনে কেবল ফেরেশতাদের কথা উল্লেখিত হ’লেও সেখানে জিনদের সদস্য ইবলীসও উপস্থিত ছিল (কাহফ ১৮/৫০)। অর্থাৎ আল্লাহ চেয়েছিলেন, জিন ও ফেরেশতা উভয় সম্প্রদায়ের উপরে আদম-এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হৌক এবং বাস্তবে সেটাই হ’ল। তবে যেহেতু ফেরেশতাগণ জিনদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন, সেজন্য কেবল তাদের নাম নেওয়া হয়েছে। আর দুনিয়াতে জিনদের ইতিপূর্বেকার উৎপাত ও অনাচার সম্বন্ধে ফেরেশতারা আগে থেকেই অবহিত ছিল, সেকারণ তারা মানুষ সম্বন্ধেও একইরূপ ধারণা পোষণ করেছিল এবং প্রশ্নের জবাবে নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিল। উল্লেখ্য যে, ‘আল্লাহ জিন জাতিকে আগেই সৃষ্টি করেন গনগনে আগুন থেকে’ (হিজর ১৫/২৭)। কিন্তু তারা অবাধ্যতার চূড়ান্ত করে।
আদমকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করার পর আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে ঐসব বস্ত্তর নাম জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু সঙ্গত কারণেই তারা তা বলতে পারল না। তখন আল্লাহ আদমকে নির্দেশ দিলেন এবং তিনি সবকিছুর নাম বলে দিলেন। ফলে ফেরেশতারা অকপটে তাদের পরাজয় মেনে নিল এবং আল্লাহর মহত্ত্ব ও পবিত্রতা ঘোষণা করে বলল, হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যতটুকু শিখিয়েছেন, তার বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্বজ্ঞ ও দূরদৃষ্টিময়’ (বাক্বারাহ ২/৩২)। অতঃপর আল্লাহ তাদের সবাইকে আদমের সম্মুখে সম্মানের সিজদা করতে বললেন। সবাই সিজদা করল, ইবলীস ব্যতীত। সে অস্বীকার করল ও অহংকারে স্ফীত হয়ে প্রত্যাখ্যান করল। ফলে সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হ’ল (বাক্বারাহ ২/৩৪)। ইবলীস ঐ সময় নিজের পক্ষে যুক্তি পেশ করে বলল, ‘আমি ওর চাইতে উত্তম। কেননা আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন আর ওকে সৃষ্টি করেছেন মাটি দিয়ে’। আল্লাহ বললেন, তুই বের হয়ে যা। তুই অভিশপ্ত, তোর উপরে আমার অভিশাপ রইল পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত’ (ছোয়াদ ৩৮/৭৬-৭৮; আ‘রাফ ৭/১২)।
সিজদার ব্যাখ্যা ও উদ্দেশ্য :
আদমকে সৃষ্টি করার আগেই আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে আদমের প্রতি সিজদা করার কথা বলে দিয়েছিলেন (হা-মীম সাজদাহ/ফুছছিলাত ৪১/১১)। তাছাড়া কুরআনের বর্ণনা সমূহ থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, আদমকে সিজদা করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ ব্যক্তি আদম হিসাবে ছিল না, বরং ভবিষ্যৎ মানব জাতির প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে তাঁর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য জিন ও ফিরিশতাদের সিজদা করতে বলা হয়েছিল। এই সিজদা কখনোই আদমের প্রতি ইবাদত পর্যায়ের ছিল না। বরং তা ছিল মানবজাতির প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ও তাদেরকে সকল কাজে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দানের প্রতীকী ও সম্মান সূচক সিজদা মাত্র।
ওদিকে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হ’লেও ইবলীস কিন্তু আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা হিসাবে অস্বীকার করেনি। বরং আল্লাহ যখন তাকে ‘অভিসম্পাৎ’ করে জান্নাত থেকে চিরদিনের মত বিতাড়িত করলেন, তখন সে আল্লাহ্কে ‘রব’ হিসাবেই সম্বোধন করে প্রার্থনা করল, قَالَ رَبِّ فَأَنظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ- ‘হে আমার প্রভু! আমাকে আপনি ক্বিয়ামত পর্যন্ত অবকাশ দিন’ (হিজর ১৫/৩৬, ছোয়াদ ৩৮/৭৯)। আল্লাহ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন। অতঃপর সে বলল, ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তেমনি তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানারূপ সৌন্দর্যে প্রলুব্ধ করব এবং তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে দেব। তবে যারা আপনার একনিষ্ঠ বান্দা, তাদের ব্যতীত’ (হিজর ১৫/৩৪-৪০; ছোয়াদ ৩৮/৭৯-৮৩)। আল্লাহ তাকে বললেন, তুমি নেমে যাও এবং এখান থেকে বেরিয়ে যাও। তুমি নীচুতমদের অন্তর্ভুক্ত। এখানে তোমার অহংকার করার অধিকার নেই’ (আ‘রাফ ৭/১৩)। উল্লেখ্য যে, ইবলীস জান্নাত থেকে বহিষ্কৃত হ’লেও মানুষের রগ-রেশায় ঢুকে ধোঁকা দেওয়ার ও বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা আল্লাহ তাকে দিয়েছিলেন।[11] আর এটা ছিল মানুষের পরীক্ষার জন্য। শয়তানের ধোঁকার বিরুদ্ধে জিততে পারলেই মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে পারবে এবং আখেরাতে জান্নাত লাভে ধন্য হবে। নইলে ইহকাল ও পরকালে ব্যর্থকাম হবে। মানুষের প্রতি ফেরেশতাদের সিজদা করা ও ইবলীসের সিজদা না করার মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে এ বিষয়ে যে, মানুষ যেন প্রতি পদে পদে শয়তানের ব্যাপারে সতর্ক থাকে এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখে।
আদমের পাঁচটি শ্রেষ্ঠত্ব :
(১) আল্লাহ তাকে নিজ দু’হাতে সৃষ্টি করেছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)। (২) আল্লাহ নিজে তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দিয়েছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭২)। (৩) আল্লাহ তাকে সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২/৩১)। (৪) তাকে সিজদা করার জন্য আল্লাহ ফেরেশতাদের নির্দেশ দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২/৩৪)। (৫) আদম একাই মাত্র মাটি থেকে সৃষ্ট। বাকী সবাই পিতা-মাতার মাধ্যমে সৃষ্ট (সাজদাহ ৩২/৭-৯)।
ইবলীসের অভিশপ্ত হওয়ার কারণ ছিল তার ক্বিয়াস। সে আল্লাহর আদেশের বিরুদ্ধে যুক্তি পেশ করে বলেছিল, ‘আমি আদমের চাইতে উত্তম। কেননা আপনি আমাকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি দয়ে’ (হিজর ২৯)। মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন বলেন, اول من قاس ابليس ‘প্রথম ক্বিয়াস করেছিল ইবলীস’। হাসান বছরীও অনুরূপ বলেছেন।[12]
নারী জাতি পুরুষেরই অংশ এবং তার অনুগত :
সিজদা অনুষ্ঠানের পর আল্লাহ আদমের জুড়ি হিসাবে তার অবয়ব হ’তে একাংশ নিয়ে অর্থাৎ তার পাঁজর হ’তে তার স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন[13] মাটি থেকে সৃষ্ট হওয়া আদমের নাম হ’ল ‘আদম’ এবং জীবন্ত আদমের পাঁজর হ’তে সৃষ্ট হওয়ায় তাঁর স্ত্রীর নাম হ’ল ‘হাওয়া’ (কুরতুবী)। অতঃপর তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বললেন, ‘তোমরা দু’জন জান্নাতে বসবাস কর ও সেখান থেকে যা খুশী খেয়ে বেড়াও। তবে সাবধান! এই গাছটির নিকটে যেয়ো না। তাহ’লে তোমরা সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে’ (বাক্বারাহ ২/৩৫)। এতে বুঝা যায় যে, ফেরেশতাগণের সিজদা কেবল আদমের জন্য ছিল, হাওয়ার জন্য নয়। দ্বিতীয়তঃ সিজদা অনুষ্ঠানের পরে আদমের অবয়ব থেকে হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়, পূর্বে নয়। তিনি পৃথক কোন সৃষ্টি ছিলেন না। এতে পুরুষের প্রতি নারীর অনুগামী হওয়া প্রমাণিত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল’ (নিসা ৪/৩৪)। অতঃপর বহিষ্কৃত ইবলীস তার প্রথম টার্গেট হিসাবে আদম ও হাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার জাল নিক্ষেপ করল। সেমতে সে প্রথমে তাদের খুব আপনজন বনে গেল এবং নানা কথায় তাদের ভুলাতে লাগল। এক পর্যায়ে সে বলল, ‘আল্লাহ যে তোমাদেরকে ঐ গাছটির নিকটে যেতে নিষেধ করেছেন, তার কারণ হ’ল এই যে, তোমরা তাহ’লে ফেরেশতা হয়ে যাবে কিংবা তোমরা এখানে চিরস্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাবে’ (আ‘রাফ ৭/২০)। সে অতঃপর কসম খেয়ে বলল যে, আমি অবশ্যই তোমাদের হিতাকাংখী’ (ঐ, ২১)। ‘এভাবেই সে আদম ও হাওয়াকে সম্মত করে ফেলল এবং তার প্রতারণার জালে আটকে গিয়ে তারা উক্ত নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল আস্বাদন করল। ফলে সাথে সাথে তাদের গুপ্তাঙ্গ প্রকাশিত হয়ে পড়ল এবং তারা তড়িঘড়ি গাছের পাতা সমূহ দিয়ে তা ঢাকতে লাগল। আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করিনি এবং বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? (ঐ, ২২) তখন তারা অনুতপ্ত হ’য়ে বলল, قَالاَ رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ- ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজেদের উপর যুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’ (২৩)। ‘আল্লাহ তখন বললেন, তোমরা (জান্নাত থেকে) নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু। তোমাদের অবস্থান হবে পৃথিবীতে এবং সেখানেই তোমরা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত সম্পদরাজি ভোগ করবে’ (২৪)। তিনি আরও বললেন যে, ‘তোমরা পৃথিবীতেই জীবনযাপন করবে, সেখানেই মৃত্যুবরণ করবে এবং সেখান থেকেই তোমরা পুনরুত্থিত হবে’ (আ‘রাফ ৭/২০-২৫)।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ইবলীসের কথায় সর্বপ্রথম হাওয়া প্রতারিত হন। অতঃপর তার মাধ্যমে আদম প্রতারিত হন বলে যে কথা চালু আছে কুরআনে এর কোন সমর্থন নেই। ছহীহ হাদীছেও স্পষ্ট কিছু নেই। এ বিষয়ে তাফসীরে ইবনু জারীরে ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে যে বর্ণনা এসেছে, তা যঈফ।[14] দ্বিতীয়তঃ জান্নাত থেকে অবতরণের নির্দেশ তাদের অপরাধের শাস্তি স্বরূপ ছিলনা। কেননা এটা ছিল তওবা কবুলের পরের ঘটনা। অতএব এটা ছিল হয়তবা তাকে শিষ্টাচার শিক্ষা দানের জন্য। বরং সঠিক কথা এই যে, এটা ছিল আল্লাহর পূর্ব নির্ধারিত ও দূরদর্শী পরিকল্পনারই অংশ। কেননা জান্নাত হ’ল কর্মফল লাভের স্থান, কর্মের স্থান নয়। তাছাড়া জান্নাতে মানুষের বংশ বৃদ্ধির সুযোগ নেই। এজন্য দুনিয়ায় নামিয়ে দেওয়া যরূরী ছিল।
প্রথম বার আদেশ দানের পরে পুনরায় স্নেহ ও অনুগ্রহ মিশ্রিত আদেশ দিয়ে বললেন, ‘তোমরা সবাই নেমে যাও’। অতঃপর পৃথিবীতে আল্লাহর খলীফা হওয়ার (বাক্বারাহ ২/৩০; ফাত্বির ৩৫/৩৯) মহান মর্যাদা প্রদান করে বললেন, ‘তোমাদের নিকটে আমার পক্ষ থেকে হেদায়াত অবতীর্ণ হবে। যারা তার অনুসরণ করবে, তাদের জন্য কোন ভয় বা চিন্তার কারণ থাকবে না। কিন্তু যারা তা প্রত্যাখ্যান করবে ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী এবং সেখানে তারা অনন্তকাল ধরে অবস্থান করবে’ (বাক্বারাহ ২/৩৮-৩৯)।
উল্লেখ্য যে, নবীগণ ছিলেন নিষ্পাপ এবং হযরত আদম (আঃ) ছিলেন নিঃসন্দেহে নিষ্পাপ। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ভুল করেননি। বরং শয়তানের প্ররোচনায় প্রতারিত হয়ে তিনি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ বৃক্ষের নিকটবর্তী হওয়ার নিষেধাজ্ঞার কথাটি ভুলে গিয়েছিলেন। যেমন অন্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, فَنَسِيَ وَلَمْ نَجِدْ لَهُ عَزْمًا- ‘অতঃপর আদম ভুলে গেল এবং আমি তার মধ্যে (সংকল্পের) দৃঢ়তা পাইনি’ (ত্বোয়াহা ২০/১১৫)। তাছাড়া উক্ত ঘটনার সময় তিনি নবী হননি বরং পদস্খলনের ঘটনার পরে আল্লাহ তাকে নবী মনোনীত করে দুনিয়ায় পাঠান ও হেদায়াত প্রদান করেন’ (আ‘রাফ ৭/১২২)।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, ইবলীসের ক্ষেত্রে আল্লাহ বললেন, قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ- ‘তুমি জান্নাত থেকে বেরিয়ে যাও। নিশ্চয়ই তুমি অভিশপ্ত’ (হিজর ১৫/৩৪; আ‘রাফ ৭/১৮)। অন্যদিকে আদম ও হাওয়ার ক্ষেত্রে বললেন, قُلْنَا اهْبِطُواْ مِنْهَا- ‘ তোমরা নেমে যাও’ (বাক্বারাহ ২/৩৬, ৩৮; আ‘রাফ ৭/২৪)। এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ইবলীস কখনোই আর জান্নাতে ফিরে আসতে পারবে না। কিন্তু বনু আদমের ঈমানদারগণ পুনরায় ফিরে আসতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
নগ্নতা শয়তানের প্রথম কাজ :
মানুষের উপরে শয়তানের প্রথম হামলা ছিল তার দেহ থেকে কাপড় খসিয়ে তাকে উলঙ্গ করে দেওয়া। আজও পৃথিবীতে শয়তানের পদাংক অনুসারী ও ইবলীসের শিখন্ডীদের প্রথম কাজ হ’ল তথাকথিত ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার নামে নারীকে উলঙ্গ করে ঘরের বাইরে আনা ও তার সৌন্দর্য উপভোগ করা। অথচ পৃথিবীর বিগত সভ্যতাগুলি ধ্বংস হয়েছে মূলতঃ নারী ও মদের সহজলভ্যতার কারণেই। অতএব সভ্য-ভদ্র ও আল্লাহভীরু বান্দাদের নিকটে ঈমানের পর সর্বপ্রথম ফরয হ’ল স্ব স্ব লজ্জাস্থান আবৃত রাখা ও ইযযত-আবরূর হেফাযত করা। অন্যান্য ফরয সবই এর পরে। নারীর পর্দা কেবল পোষাকে হবে না, বরং তা হবে তার ভিতরে, তার কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে ও চাল-চলনে সর্ব বিষয়ে। পরনারীর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি ও মিষ্ট কণ্ঠস্বর পরপুরুষের হৃদয়ে অন্যায় প্রভাব বিস্তার করে। অতএব লজ্জাশীলতাই মুমিন নর-নারীর অঙ্গভূষণ ও পারস্পরিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি। নারী ও পুরুষ প্রত্যেকে একে অপরের থেকে স্ব স্ব দৃষ্টিকে অবনত রাখবে (নূর ২৪/৩০-৩১) এবং পরস্পরে সার্বিক পর্দা বজায় রেখে কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কথাটুকু স্বাভাবিকভাবে সংক্ষেপে বলবে। নারী ও পুরুষ প্রত্যেকে নিজ নিজ স্বাতন্ত্র্য ও পর্দা বজায় রেখে স্ব স্ব কর্মস্থলে ও কর্মপরিধির মধ্যে স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং সংসার ও সমাজের কল্যাণে সাধ্যমত অবদান রাখবে। নেগেটিভ ও পজেটিভ পাশাপাশি বিদ্যুৎবাহী দু’টি ক্যাবলের মাঝে প্লাষ্টিকের আবরণ যেমন পর্দার কাজ করে এবং অপরিহার্য এক্সিডেন্ট ও অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা করে, অনুরূপভাবে পরনারী ও পরপুরুষের মধ্যকার পর্দা উভয়ের মাঝে ঘটিতব্য যেকোন অনাকাংখিত বিষয় থেকে পরস্পরকে হেফাযত করে। অতএব শয়তানের প্ররোচনায় জান্নাতের পবিত্র পরিবেশে আদি পিতা-মাতার জীবনে ঘটিত উক্ত অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা থেকে দুনিয়ার এই পঙ্কিল পরিবেশে বসবাসরত মানব জাতিকে আরও বেশী সতর্ক ও সাবধান থাকা উচিত। কুরআন ও হাদীছ আমাদেরকে সেদিকেই হুঁশিয়ার করেছে।
মানব সৃষ্টির রহস্য :
আল্লাহ বলেন, وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلاَئِكَةِ إِنِّيْ خَالِقٌ بَشَرًا مِّن صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَإٍ مَّسْنُوْنٍ، فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيْهِ مِن رُّوحِيْ فَقَعُوْا لَهُ سَاجِدِيْنَ- ‘স্মরণ কর সেই সময়ের কথা, যখন তোমার প্রভু ফেরেশতাদের বললেন, আমি মিশ্রিত পচা কাদার শুকনো মাটি দিয়ে ‘মানুষ’ সৃষ্টি করব। অতঃপর যখন আমি তার অবয়ব পূর্ণভাবে তৈরী করে ফেলব ও তাতে আমি আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার প্রতি সিজদায় পড়ে যাবে’ (হিজর ১৫/২৮-২৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, هُوَ الَّذِيْ يُصَوِّرُكُمْ فِي الأَرْحَامِ كَيْفَ يَشَآءُ لآ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ- (آل عمران ৬)- ‘তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদেরকে মাতৃগর্ভে আকার-আকৃতি দান করেছেন যেমন তিনি চেয়েছেন। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি মহা পরাক্রান্ত ও মহা বিজ্ঞানী’ (আলে ইমরান ৩/৬)। তিনি আরও বলেন, يَخْلُقُكُمْ فِيْ بُطُوْنِ أُمَّهَاتِكُمْ خَلْقًا مِّن بَعْدِ خَلْقٍ فِي ظُلُمَاتٍ ثَلاَثٍ- (زمر ৬)- ‘তিনি তোমাদেরকে তোমাদের মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করেন একের পর এক স্তরে তিনটি অন্ধকারাচ্ছন্ন আবরণের মধ্যে’ (যুমার ৩৯/৬)। তিনটি আবরণ হ’ল- পেট, রেহেম বা জরায়ু এবং জরায়ুর ফুল বা গর্ভাধার।
উপরোক্ত আয়াতগুলিতে আদম সৃষ্টির তিনটি পর্যায় বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমে মাটি দ্বারা অবয়ব নির্মাণ, অতঃপর তার আকার-আকৃতি গঠন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহে শক্তির আনুপতিক হার নির্ধারণ ও পরস্পরের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান এবং সবশেষে তাতে রূহ সঞ্চার করে আদমকে অস্তিত্ব দান। অতঃপর আদমের অবয়ব (পাঁজর) থেকে কিছু অংশ নিয়ে তার জোড়া বা স্ত্রী সৃষ্টি করা। সৃষ্টির সূচনা পর্বের এই কাজগুলি আল্লাহ সরাসরি নিজ হাতে করেছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)। অতঃপর এই পুরুষ ও নারী স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস করে প্রথম যে যমজ সন্তান জন্ম দেয়, তারাই হ’ল মানুষের মাধ্যমে সৃষ্ট পৃথিবীর প্রথম মানব যুগল। তারপর থেকে এযাবত স্বামী-স্ত্রীর মিলনে মানুষের বংশ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
শুধু মানুষ নয়, উদ্ভিদরাজি, জীবজন্তু ও প্রাণীকুলের সৃষ্টি হয়েছে মাটি থেকে। আর মাটি সৃষ্টি হয়েছে পানি থেকে। পানিই হ’ল সকল জীবন্ত বস্ত্তর মূল (ফুরক্বান ২৫/৫৪)।

Monday, June 22, 2015

সুরা ফালাক এর অনুবাদ


(1)বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
(2)তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
(3)অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
(4)গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
(5)এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।

সুরা নাস এর অনুবাদ


(1)বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,
(2)মানুষের অধিপতির,
(3)মানুষের মা’বুদের
(4)তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
(5)যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
(6)জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

সুরা ফাতিহা এর অনুবাদ


(1)শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(2)যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
(3)যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
(4)যিনি বিচার দিনের মালিক।
(5)আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
(6)আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
( 7 )   সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

অনলাইনে কুরআন পড়ুন – Online Quran Reader Bangla/Bengali

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

Sunday, June 21, 2015

নিশ্চিত হলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা


এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের আটে থাকতেই পারলেই মিলবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার সুযোগ। এ জন্য হাতে ছিল ভারতের সঙ্গে তিন ম্যাচ এবং আসছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তিন ম্যাচ, মোট ৬টি ওয়ানডে। এই ছয়টির মধ্যে দুটো জিতলেই হতো। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেও ভারতে হারিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাল মাশরাফি-সাকিবরা। এ জয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ও হলো।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে যায় বাংলাদেশ। ৮৮ থেকে বেড়ে রেটিং পয়েন্ট হয় ৯১। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮৮, পাকিস্তানের ৮৭। হিসাব ছিল,২-১ সিরিজ জিতলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৩। আর পাকিস্তানের পর ভারতকেও বাংলাওয়াশ করতে পারলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৬। অত দুর যেতে হয়নি, আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে সাতে পৌঁছে গেল মাশরাফি-সাকিবরা। ছয়ে থাকা ইংল্যান্ডের রেটিং পয়েন্ট কিন্তু ৯৬। তবে এসব হিসাব অবশ্য ২০ জুন পর্যন্ত। আজকের ম্যাচ শেষেও তালিকা হালনাগাদ হবে। 
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর আগামী বিশ্বকাপও ইংল্যান্ডে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলাটা হবে বিশ্বকাপের জন্য অভিজ্ঞতা পুঁজির সুযোগ। সেই সুযোগ পাওয়ার শর্ত ছিল একটাই, এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মধ্যে থাকতে হবে র‍্যাঙ্কিংয়ে আটে। র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা আট দল খেলবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেরা আট দল সুযোগ পাবে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগও। ফলে আট নম্বর জায়গাটি বাংলাদেশের জন্য ছিল দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। যে জায়গাটি নিয়ে লড়াই হচ্ছিল পাকিস্তানের সঙ্গে। কারণ পাকিস্তান নয়ে। বাংলাদেশের কাছে ধবল ধোলাই হয়েই নয়ে নেমে যায় পাকিস্তান। আটে উঠে বাংলাদেশ। 
পাকিস্তান কিছুদিন পরে খেলবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডে। বাংলাদেশ খেলছে ভারতের বিপক্ষে। এই দুটো সিরিজ শেষেই র‍্যাঙ্কিংয়ে ওলটপালট হবে। তবে বাংলাদেশ ওত দিন অপেক্ষা না করেই পরপর দু ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করে ফেলল। এমনও হতে পারে, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে। সেই সম্ভাবনাও আছে। তখন বাদ পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট ৮৮। নয়ে থাকা পাকিস্তানের ৮৭। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে সিরিজ নেই। আর সেপ্টেম্বর ৩০-এর মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের আটে থাকা দলগুলোই খেলবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। 
পাকিস্তানেরও কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পয়েন্ট বাড়ানোর সুযোগ থাকছেই। জুলাইয়ের সেই সময়টায় বাংলাদেশও খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। 
র‍্যাঙ্কিংয়ের হিসাব হচ্ছে, এগিয়ে থাকা দলের সঙ্গে খেলে জিতলে সেই দলের রেটিং পয়েন্টের সঙ্গে ৫০ পয়েন্ট যোগ করলে আপনি মোট পয়েন্ট পাবেন। হারলে সেই দলের রেটিং পয়েন্টের সঙ্গে ৫০ বিয়োগ করলে পাবেন মোট পয়েন্ট। র‍্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা ভারতের রেটিং পয়েন্ট ১১৬। প্রতিটা ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ পাবে ১৬৭ পয়েন্ট, হারলেও পাবে ৬৭ পয়েন্ট। ওদিকে একই নিয়মে শ্রীলঙ্কার (রেটিং পয়েন্ট ১০৬) বিপক্ষে প্রতিটা ম্যাচ জিতলে পাকিস্তান পাবে ১৫৬ পয়েন্ট, হারলে ৫৬ পয়েন্ট। 
বাংলাদেশের জন্য সুখবর হলো, ভারতের বিপক্ষে সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে হারলেও তাদের রেটিং পয়েন্ট হবে ৮৯। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে চলে যাবে সাতে। ২-১ সিরিজ জিতলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৩। আর বাংলাওয়াশ করতে পারলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৬। ছয়ে থাকা ইংল্যান্ডের রেটিং পয়েন্টও ৯৮। 
পাকিস্তানেরও কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পয়েন্ট বাড়ানোর সুযোগ থাকছেই। জুলাইয়ের সেই সময়টায় বাংলাদেশও খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রতিটি ম্যাচ জিতলে পাবে ১৬২ পয়েন্ট, হারলে শুধু ৬২ পয়েন্ট। প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে না যাওয়া। কারণ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ যদি দুটো ম্যাচ হারে আর একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়, তাহলে পাকিস্তান উঠে আসবে আটে, বাংলাদেশ নেমে যাবে নয়ে! কীভাবে? দুটো ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশ পাবে ১৩৪ পয়েন্ট। এখন বাংলাদেশের মোট পয়েন্ট ২৮ ম্যাচে ২৪৭১। দুই ম্যাচ হারলে হবে ৩০ ম্যাচে ২৬০৫। অর্থাৎ রেটিং পয়েন্ট হবে ৮৭! ভগ্নাংশের দিক দিয়ে এগিয়ে থেকে ওপরে উঠবে পাকিস্তান। আর ভারতের কাছে ধবল ধোলাই হলে রেটিং পয়েন্ট নেমে হয়ে যাবে ৮৬। 
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ তো বটেই, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেও বাংলাদেশ কেমন করছে, পাকিস্তানের পাশাপাশি তা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে দেখবে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। আর বাংলাদেশের কারও দিকে তাকানোর দরকার নেই।