Saturday, July 11, 2015

বার্সেলোনায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে


এক সময়ের ইসলামী ঐতিহ্যের দর্শনীয় স্থান স্পেনের বার্সেলোনায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কাতারের বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি স্পেনে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই মসজিদ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বার্সেলোনায় সৌধতুল্য একটি বুলরিংকে মসজিদে রূপান্তর করার প্রস্তাব করেছেন। বুলরিং বলা হয় সেই স্থানকে যেখানে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়।

মসজিদটি নির্মাণে তিনি পাঁচ বছরে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় করবেন। ৪০ হাজার মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মসজিদটি হবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় মসজিদ। মক্কা ও মদিনার বাইরে পরিকল্পিত মসজিদটি হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম।

আর এটাতে থাকবে ৩০০ টি মিনার, একটি মিলনায়তন, ৩০০ আসন বিশিষ্ট কুরআন অধ্যয়ন কেন্দ্র এবং  ইসলামি শিল্প ও ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি জাদুঘর।

বুলরিংটি ১৯১৪ সালে উদ্বোধন করা হয় এবং ষাঁড়ের লড়াই ও কনসার্টের ভেন্যু হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। মালিক পক্ষ বালানা গ্রুপ এখনো জায়গাটির বিক্রি নিশ্চিত করেনি।

তবে স্পেনের একটি দৈনিক পত্রিকা জানিয়েছে যে, সৌধটির বর্তমান মালিকপক্ষ জায়গাটি বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে। এর পরবর্তী ধাপের কাজ হচ্ছে সিটি কাউন্সিলের সম্মতি নিশ্চিত করা বার্সেলোনাই ইউরোপের একমাত্র বড় শহর যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম থাকা সত্ত্বেও কোনো মসজিদ নেই।

বার্সেলোনাতে সম্প্রতি কয়েকটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা মসজিদও নির্মাণ করা যায়নি।
সূত্র: গার্ডিয়ান

Thursday, July 9, 2015

ইসলামের দৃষ্টিতে বর-কনের বয়সের পার্থক্য কতো হওয়া উচিৎ?


বর্তমানে মানুষ মেয়েদের অধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত অবহেলা করে। যেমন, বাচ্চা মেয়ের বিয়ে বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে দেয়া। যার পরিণতি হলো স্বামী যদি মারা যায় তাহলে মেয়ের চরিত্র নষ্ট হয়। আবার কোথাও এই অবিচার হয়, ছোটো ছেলের সঙ্গে যুবতি মেয়ের বিয়ে দেয়। এখানে একটি বিয়ে হয়েছে বর ছোটো আর কণে বয়স্ক। দুইজনের বয়সের পার্থক্য এতো যদি মহিলার প্রথম সন্তান ছেলে হতো তাহলে বর তার সমবয়সী হতো। আমি এমনটা অপছন্দ করি। এই অপছন্দ ওয়াজিব বা হারামের পর্যায় নয়। বরং অপছন্দ স্বভাবসূলভ এবং বিবেকের। বয়সের সমতা হলে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়। [দাওয়াতে আবদিয়্যাত আজলুল জাহিলিয়্যাত, পৃষ্ঠা-৩৫৬।]
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের সমতা শরিয়তের বিধান : স্বামী-স্ত্রীর বয়সের সমতা রক্ষা করা আবশ্যক। বয়স স্বামী-স্ত্রীর মাঝে আচরণগত (স্বভাব ও দৈহিক) বিষয়। এক প্রকার শরয়ী বিষয়ও বটে। এ ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধানও লক্ষ্যণীয়।
কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ أَتْرَابٌ
অর্থাৎ জান্নাতে হুরগণ (জান্নাতের রমণী) সমবয়সী হবে।
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
أَنشَأْنَاهُنَّ إِنشَاء فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا عُرُبًا أَتْرَابًا
আমি জান্নাতী নারীকে উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছি। অতপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী। কামিনী সমবয়স্কা।
বয়সের ব্যবধানে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আমি লক্ষ্য করেছি, বাচ্চাদের সঙ্গে বাচ্চাদের যেমন আন্তরিকতা হয় বড়দের সঙ্গে তেমন হয় না। হজরত ফাতেমা রা. এর বিয়ের প্রস্তাব সর্ব প্রথম হজরত আবু বকর রা. দেন। অতপর হজরত ওমর রা. প্রস্তাব দেন। কারণ, এটুকু যোগ্যতা ও সম্মান তাঁদের অর্জিত ছিলো। তাঁদের কন্যাদ্বয় রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মাণিতা স্ত্রী ছিলেন। এখন তারা রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাতা সম্মান অর্জন করবেন। রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, انها لصغيرة সে অনেক ছোট। তাঁদের বয়স অনেক বেশি ছিলো। রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বয়সের কথা বিবেচনা করে তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেন।
হজরত ফাতেমা রা. এর বিয়ের ঘটনা উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হলো, হজরত শায়খাইন রা. (আবু বকর ও ওমর) এর সঙ্গে বিয়ে দিতে রাসুলুল্লাহসাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আপত্তি ছিলো সে ছোট। বাচ্চা। এর থেকে বুঝা গেলো মেয়ের বয়স কম হলে স্বামীর বয়স বেশি হওয়া উচিৎ নয়। বয়সের অসমতায় বিয়ে দেয়াও ঠিক নয়। [দাওয়াতে আবদিয়্যাত আজলুল জাহিলিয়্যাত।]
হজরত ফাতেমা [রা.] -এর বিয়ের সময় বয়স ছিলো সাড়ে পনেরো বছর। হজরত আলী রা. বয়স ছিলো একুশ বছর। এর থেকে জানা যায়, বর-কণের বয়সের সমতা ঠিক রাখা উচিৎ। উত্তম হলো সমবয়সী স্বামী সমবয়সী স্ত্রী থেকে একটু বড় হবে। জ্ঞানীগণ বলেন, মেয়ে যদি একটু ছোট হয় তাহলে সমস্যা নেই। রহস্য হলো নারী অধীনস্থ হয় এবং কর্তৃত্বকারী। তাছাড়াও নারীর শারীরিক শক্তি ও সামর্থ থাকে দুর্বল। ফলে সে আগে বৃদ্ধা হয়ে যায়। যদি দুই-চার বছরের পার্থক্য থাকে তাহলে সমতা আসে। [হুকুকুল জাওযাইন, পৃষ্ঠা-৩৭০।]

১২তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ২০১৫ রেজাল্ট প্রকাশিত।


Search Result
Roll No : Roll No is required!
Exam :
For any inconvenience, please mail to ntrca2005@yahoo.com

©2015 NTRCA, Ministry of Education, All Rights Reserved. Powered by

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player

Wednesday, July 8, 2015

আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসির ফল


আগামী ৮ অথবা ৯ আগস্ট এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালেয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এক জরুরি নির্দেশনাপত্র উদ্ধৃত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকত এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

সাতটি নির্দেশনা সম্বিলিত ওই চিঠির চার নম্বরে বলা হয়েছে, ‘এইচএসসি ও সমমানের ফল ৮ আগস্ট অথবা ৯ আগস্ট (৬০তম দিন) সামারি (সারসংক্ষেপ) পাঠাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় অংশ নেয় ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন পরীক্ষার্থী। -

পবিত্র কোরআনে ছেলে-মেয়ের প্রেম কি জায়েজ?


ইসলাম ডেস্ক: মানব ইতিহাসে অনেক প্রেমিক যুগোল তাদের প্রেমের কারণে ইতিহাসে নিজের নাম স্থায়ী করে নিয়েছেন। কিন্তু ছেলে-মেয়েদের এই প্রেম ভালবাসা কি জায়েজ? এ সম্পর্কে মানব জাতির পূর্ণঙ্গ জীবন বিধান আল-কোরআনে স্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে। সেখানে বলা আছে ইসলামে প্রেম করা জায়েজ। কিন্তু সেই প্রেম হতে হবে বাবার প্রতি সন্তানের যে প্রেম থাকে, প্রতিবেশির প্রতি প্রতিবেশির যে প্রেম থাকে। যদি আপনার কোন যুবতী মেয়ের প্রতি যৌন উত্তেজিত প্রেম থাকে তাহলে সেই প্রেম একেবারেই জায়েজ নয়।
বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম।
“স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না” (সূরা আল মায়িদা: ৫)
এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে।
৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে।
সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে। যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম।
জিনা তথা অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক হারাম। (সূরা ইসরা আয়াতঃ ৩২) (সূরা ফুরকানঃ ৬৮)জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ। বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ।
বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। (সূরা বাকারাঃ১৬৫)
শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? সূরা আল মায়েদাহ, আয়াত নং ৯০ থেকে ৯১।
আসলে ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে গুনাহ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন উপায় বলে দেয়।প্রেম করলে শয়তান অবশ্যই জিনা করতে প্রলুব্ধ করবে। ইসলামে বিয়ের আগে প্রেম করা হারাম।

কোরআন প্রতিযোগিতায় দুবাইয়ে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশি কিশোর !


ইসলাম ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ১৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৮০টি দেশকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ মুহাম্মাদ যাকারিয়া।  মাত্র ১২ বছর বয়সী যাকারিয়ার এমন সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা তার পরিবার।
১৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় মুহাম্মদ যাকারিয়া তার মধুর কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ করেছেন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বিশ্ব প্রতিনিধিদের।
যাকারিয়ার বাবা ঢাকার একটি মসজিদের ইমাম।  ছেলের মেধায় অনুপ্রাণিত হয়ে তাকে ভর্তি করেছিলেন হেফজখানায়।  তার সফল প্রতিদান দিয়েছে যাকারিয়া।  এর আগেও যাকারিয়া মিসরে অন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম ও জর্ডানে তৃতীয় এবং কাতারে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন।
দুবাইয়ের প্রতিযোগিতায় মৌরিতানিয়া এবং ইরানের প্রতিনিধি দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন দুবাইয়ের ১৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  এতে ৮০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেয়।  প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।  সূত্র : ইকনা

Tuesday, July 7, 2015

প্রাথমিক শিক্ষক বদলি নীতিমালা সংশোধনী জারি


শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বদলি নীতিমালা-২০১৫’ ঘোষণার সাড়ে তিন মাস পরই আরেকটি সংশোধিত নীতিমালা জারি করেছে সরকার। মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ রেখে গত রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়।

নতুন নীতিমালায় মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের যেকোনো সময় সংযুক্তি প্রদানপূর্বক বদলি করতে পারবে এমন বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ছাড়া অপর কোনো কর্তৃপক্ষ এরূপ সংযুক্তির আদেশ প্রদান করতে পারবে না। এ ছাড়া সংযুক্তি আদেশ বাতিলের ক্ষমতাও মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত থাকবে।

সংশোধিত নীতিমালায় উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা (ইউইও) ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) বদলিসংক্রান্ত একচ্ছত্র ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ইউইওর একক সিদ্ধান্তে নয়, বরং উপজেলা শিক্ষা কমিটির সুপারিশ নিয়ে বদলি করতে হবে। সুপারিশ কার্যকর করবেন ডিপিইও।

নতুন নির্দেশিকা জারির ফলে এর আগের সব নীতিমালা, প্রজ্ঞাপন ও আদেশ বাতিল হয়ে গেছে। সদ্য জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদায়নের ক্ষেত্রেও নতুন নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। তবে সদ্য জাতীয়করণকৃত এসব বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের নামে আদালত কর্তৃক বদলি স্থগিত থাকবে এমন নির্দেশনা থাকলে তিনি বদলির জন্য বিবেচিত হবেন না। সাধারণভাবে প্রতি শিক্ষাবর্ষের জানুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে শিক্ষক বদলি সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ বছর গত ১২ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বদলি নীতিমালা, ২০১৫’ ঘোষণা করে।

বদলি কর্তৃপক্ষ : জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার নিজ অধিক্ষেত্রে একই উপজেলার মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কমিটির সুপারিশক্রমে সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃবদলির অনুমোদন দিতে পারবেন। পরে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার বদলি আদেশ জারি করবেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আন্তঃউপজেলা/থানার মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশক্রমে বদলি করতে পারবেন। সিটি করপোরেশন আওতাধীন থানার ক্ষেত্রেও তিনি এরূপ বদলি করতে পারবেন।

বিভাগীয় উপপরিচালক তার নিজ অধিক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সুপারিশক্রমে সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলি ও প্রধান শিক্ষকদের একই উপজেলা, আন্তঃউপজেলা ও আন্তঃজেলা বদলি করতে পারবেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও বিভাগীয় উপপরিচালকের সুপারিশক্রমে যেকোনো সময় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃবিভাগ বদলি করতে পারবেন। একইভাবে তিনি সিটি করপোরেশন এলাকাধীন থানার ক্ষেত্রে সুপারিশক্রমে প্রধান শিক্ষকদের আন্তঃথানা/আন্তঃবিদ্যালয় বদলি করতে পারবেন। সর্বোপরি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে যেকোনো শিক্ষককে যেকোনো কারণে বদলি করতে পারবে।

সিনিয়র সহকারী সচিব (বিদ্যা-২) জাজরীন নাহার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকায় আরো বলা হয়, সাধারণভাবে প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃউপজেলা/থানা/ আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন ও আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে। তবে যুক্তিসঙ্গত কারণে এ সময়ের মধ্যে বদলি করা সম্পন্ন না করা গেলে মন্ত্রণালয় কর্তৃক যেকোনো সময়ের মধ্যে বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। একইভাবে যেসব বিদ্যালয়ে চারজন বা তার চেয়ে কমসংখ্যক শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন কিংবা শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১:৪০ এর বেশি রয়েছে সে ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপনপূর্বক সাধারণ বদলি করা যাবে। উপজেলা/থানার মধ্যে একইপদে একাধিক প্রার্থী থাকলে তাদের মধ্যে চাকরির জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বদলি করা যাবে না।

কোটা অনুযায়ী উপর্যুক্ত প্রার্থী না পাওয়ায় শূন্য পদ পূরণে নিজ উপজেলা/থানার বাইরে পদায়ন করা শিক্ষকেরা নিজ উপজেলায়/থানার মধ্যে বদলি হতে চাইলে বদলি হতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে চাকরির মেয়াদ বা বহিরাগত শিক্ষকের কোটা প্রযোজ্য নয়। একইভাবে যাদের স্থায়ী ঠিকানা জেলা সদরের পৌরসভা, জেলা সদর বা সিটি করপোরেশন হওয়ার পরও পদ শূন্য না থাকায় বাইরে পদায়ন করা হয়েছে তারাও একইভাবে বদলি হতে পারবেন। বদলির পর এক বছর না যাওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক পুনঃবদলির যোগ্য হবেন না। কোনো শিক্ষকের স্ত্রী/স্বামী সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে তাকে স্ত্রী বা স্বামীর কর্মস্থলে বদলির সুযোগ দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। তবে এ সুবিধা কর্মজীবনে সর্বোচ্চ ২ বার নেয়া যাবে।

বদলির সাধারণ শর্তাবলী : সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম দুই বছর পূর্ণ হলে ও পদশূন্য থাকলে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন ও আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে। তবে এই দুই বছরের মধ্যে একই উপজেলায়/থানায় পদ শূন্য হলে বদলি হতে কোনো বাধা থাকবে না। এভাবে বদলির এক বছর অতিক্রান্ত না হলে কোনো শিক্ষক পুনঃবদলির জন্য বিবেচিত হবেন না। প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেলে তার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

প্রশাসনিক প্রয়োজনে বদলি : প্রশাসনিক প্রয়োজনে যেকোনো সময় যেকোনো শিক্ষককে বদলি করা যাবে। তবে এরূপ বদলির ক্ষেত্রে নিয়মিত সময়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তা/জেলা শিক্ষা অফিসার/বিভাগীয় উপপরিচালকরা নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বদলি করবেন। তবে অন্য সময়ে অধিদফতরের মহাপরিচালকের অনুমোদনক্রমেই কেবল বদলি করা যাবে। প্রশাসনিক কারণে বদলি হলে এক বছর অতিক্রান্ত না হলে আবারো বদলি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত এবং শ্রেণিকক্ষ-ছাত্র অনুপাত ১:৪০ এর বেশি হলে কোনো শিক্ষককে সমন্বয়ের প্রয়োজনে বদলি করা যাবে না। একইভাবে ৫ বা তার কম শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষককে বদলি করা যাবে না। সমন্বয় বদলির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা বদলি হতে ইচ্ছা পোষণ না করলে কনিষ্ঠদের বদলি করা যাবে। অবসর উত্তর ছুটিতে যাওয়ার এক বছর সময়ের মধ্যে কোনো শিক্ষককে সমন্বয়ের প্রয়োজনে বদলি করা যাবে না। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম পর্যন্ত চালু রয়েছে এরুপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনে শিক্ষক বদলিপূর্বক সমন্বয় করা যাবে।

নীতিমালায় উল্লেখ আছে, প্রশিক্ষণে যাওয়া, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়াসহ নানা কারণে শিক্ষক স্বল্পতায় পাঠদান বিঘ্নিত হওয়ার কারণে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বা প্রশাসনিক প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় যেকোনো শিক্ষককে যেকোনো সময় যেকোনো বিদ্যালয়ে সংযুক্তি দিতে পারবে। মন্ত্রণালয় ছাড়া বদলির অপর কোনো কর্তৃপক্ষ এমন সংযুক্তি দিতে পারবে না। নীতিমালা বলা হয়েছে, চাকরি লাভের পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এমন নারী শিক্ষক স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলি হতে চাইলে শূন্য পদের বিপরীতে বদলি করা যাবে। তবে একটি শূন্য পদের বিপরীতে একাধিক আবেদনকারী থাকলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বদলি করতে হবে। একইভাবে বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা শিক্ষিকাকে তার পিতার স্থায়ী ঠিকানায় বদলি করা যাবে। নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক চাকরিরত অবস্থায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে (ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, এইচআইভি পজিটিভ ভাইরাস) আক্রান্ত হলে কিংবা বাইপাস সার্জারি হলে ওই শিক্ষকের চিকিৎসার সুবিধার্থে অন্যত্র বদলি করা যাবে। তবে সিটি করপোরেশন এলাকায় এরূপ বদলি প্রযোজ্য হবে না। একইভাবে কোনো শিক্ষক দুর্গম এলাকায় (হাওড়, বাঁওর, চর, দ্বীপাঞ্চল) ১০ বছর কর্মরত থাকলে ওই শিক্ষককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে একই উপজেলার সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে বদলি করা যাবে। পদ শূন্য হওয়ার আগে অগ্রিম বদলির আদেশ দেয়া যাবে না।

******আমার হুজুর স্বামী ******

কখনও ভাবিনি আমার হুজুর টাইপের কারও সঙ্গে বিয়ে হবে। আমার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও পরিবারের চাপে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। আমি মর্ডান মেয়ে আর বিয়ে করব কিনা হুজুরকে? ভাবতেই কেমন যেন সংকোচ বোধ হচ্ছিল। এমনিতেই বিয়ে করতে ইচ্ছা করছিল না তাতে আবার এক বান্ধবি এসে বলল, কিরে রিয়া তুই হুজুরকে বিয়ে করলি আর পাত্র খুঁজে পাসনি। 

আর এক ভাবি এসে কানে ফিসফিস করে বলল, তোর বরের তো সারা মুখেই দাড়ি কিস করবি কোথায়? খুব বিরক্ত লাগছিল। ইচ্ছা করছিল এখুনি আসন থেকে উঠে যাই। হটাৎ পায়ের ঠক ঠক আওয়াজে ঘোমটার ফাঁক দিয়ে আর চোখে দেখলাম একজন লোক আসছে। তার বেশভুষা আর গঠন দেখে বুঝলাম উনি আমার স্বামী। অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও উঠে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলাম। 

থাক থাক বলে আমার বাহুতে হাত দিয়ে তুলে বিছানায় বসাল আর বলল, তোমার নাম কী? খুব ইচ্ছা করছিল বলতে আমার নাম না জেনেই আমাকে বিয়ে করেছেন? বললাম, রিয়া- সুন্দর নাম কিন্তু তুমি কি জানো রিয়া নামের অর্থ কি ? মেজাজটা খারাপ হওয়ার উপক্রম বললাম, না -শোনো, আরবিতে রিয়া শব্দের অর্থ অহংকার। আর মানুষকে যে জিনিসগুলা ধ্বংস করে দেয় তার মধ্যে 
রিয়া অন্যতম। 

তাই আজ থেকে আমি তোমাকে মিম বলে ডাকব। নাহ আর মেজাজটা ঠিক রাখতে পারছি না। বাসর রাতে আমার স্বামী আমাকে অর্থ শেখাচ্ছে কারও মাথা ঠিক থাকার কথা? একটু বিরক্ত সুরে বললাম, আপনার যেটা ভাল লাগে সেটাই ডাকিয়েন। বুঝতে পারছে মনে হয় বলল তোমার মনে হয় খারাপ লাগছে তুমি ঘুমিয়ে পড়। ‘আমার ধার্মিক স্বামী’ (২) ঘুমটা ভাঙল গুন গুন আওয়াজে। কান খাড়া করে আওয়াজটা শুনতে চেষ্টা করলাম, বুঝলাম কেউ কোরান পড়ছে।

তাকিয়ে দেখলাম আমার স্বামী। তার সুমধুর কণ্ঠে কোরান তেলাওয়াত শুনতে ভালই লাগছিল। তাই একটু উঠে বসলাম। আমাকে উঠে বসতে দেখে তেলাওয়াত বন্ধ করে বলল, আসসালামু আলাইকুল। শুভ সকাল, ঘুমটা কেমন হলে? সালাম নিয়ে বললাম জি ভাল হয়েছে। এভাবেই কাটছিল দিনগুলা। এর মাঝে উনি আমাকে নানাভাবে নামাজ পড়ার কথা বলত। এত ধৈর্য আর এত ভাল করে বুঝিয়ে বলত যে আমি নিজেই খুব অবাক হয়ে যেতাম। 

তার সব চেষ্টাকে সফল করে একদিন নামাজ পড়া শুরু করলাম। দেখলাম তার মুখটা খুশিতে ভরে উটেছে। তার হাসি-মাখা মুখটা দেখতে ভালই লাগত। নামাজ ৫ ওয়াক্ত হলেও আমি ৪ ওয়াক্ত পড়তাম। ফজরের নামাজ পড়তাম না। খুব আলসেমি লাগত। উনি আমাকে ডাকতেন শুনেও জাগতাম না। এটা উনি বুঝতে পেরেছিল যে আমি ইচ্ছা করেই উঠি না। 

তাই আমাকে কাছে ডেকে পাশে বসিয়ে বলল, দেখো তুমি এভাবে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ঘুমাও তাহলে দিনের ৩ ভাগের ১ ভাগ তুমি ঘুমিয়ে কাটাচ্ছ। যদি তোমার আয়ুকাল ৬০ বছর হয় তাহলে তুমি ৩ ভাগের এক ভাগ মানে ২০ বছর ঘুমিয়ে কাটাচ্ছ। আল্লাহ তো তোমাকে এই দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে কাটাতে পৃথিবীতে পাঠাননি। তারপর অনেকগুলা ভাল ভাল কথা আর কোরানের বাণী শুনালেন। 

এত ভাল কথা শুনিয়েছিলেন যে শুনে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত ১ ওয়াক্ত নামাজও আমি কাজা করিনি। সর্বদাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি। আজ আমি অনুতপ্ত নয় গর্ববোধ করি আমার স্বামীর জন্য। তাই আসুন আমরা একমাত্র আল্লাহর বিধান মেনে চলি। আমিন

Sunday, July 5, 2015

HTML Color Codes from an Image

         
HTML Color Codes from an Image

Choose Colors from an Image (BETA Version)

Step 1: Select image from your computer and click "Show image" button. Scaled version of the image will show up.
Step 2: Click anywhere on the image to choose an area. 9x9 pixels will be magnified in a small box.
Step 3: Click anywhere in the small box to select desired color.
Step 4: Click again on the image to choose another 9x9 pixels area.

                                                             
Your browser does not support the HTML5 canvas tag. Your browser does not support the HTML5 canvas tag.
Color Code: