Thursday, June 11, 2015

রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদলো পরীক্ষার্থী-অভিভাবক


ঢাকা: ঢাকার রাস্তায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হরেক ধরনের মানুষকে কাঁদতে দেখা যায়। কেউবা  কেঁদে কেঁদে ভিক্ষা করে, আবার কেউবা পকেটমারের খপ্পরে পরে টাকা-পয়সা হারিয়ে কাঁদতে দেখা যায়। আবার কখনো কখনো সড়ক দুর্ঘটনায় স্বজন হারিয়েও অনেককে কাঁদতে দেখা যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সে রকম কোনো ঘটনায় নয়, আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেঁদেছেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী (ও-লেভেল) ও তাদের অভিভাবক।  যানজটে আটকা পড়ে পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পারার যন্ত্রনায় কয়েকজন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদেরকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো কাঁদতে দেখা গেল।

যানজটের সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে সকাল  ১০টার দিকে পরীক্ষার্থী সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকদেরকে এই দুর্গতির মধ্যে পড়তে দেখা যায়।

অনেককে আবার গাড়ি রেখে কাক ভেজা হয়ে রাস্তায় দৌঁড়া দৌঁড়ি করতে দেখা যায়।অনেকে হেটে দেরিতে পরীক্ষা হলে ঢুকতে পারলেও অনেকে পরীক্ষার হল পর্যন্তই যেতে পারেনি।

সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টির পর সৃষ্ট যানজটে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে নগরবাসীকে এই ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।এই ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে  হাতিরঝিল এলাকার প্রায় সব রাস্তা বন্ধ ছিল।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার থেকেই  গোটা হাতিরঝিলসহ আশপাশে যানচলাচল বন্ধ ছিল। এর ফলে রামপুরা, বাড়িধারা, বাড্ডা, গুলশান থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা যানজটে আটকা পড়ে।

ওইসব এলাকা থেকে কোনো গাড়ি হাতিরঝিল হয়ে চলাচল করতে পারেনি।ফলে ঐ এলাকা থেকে যেসব পরীক্ষার্থী ধানমন্ডি যেতে চেয়েছিল তারা ভোগান্তিতে পরে।ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদেরকে যনজটে আটকে থাকতে হয়েছে। দৃশ্যত সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট, মালিবাগ, মগবাজার, হাতিরঝিল, গুলশান, মহাখালী, ধানমন্ডি এলাকায় দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে।  
প্রায়  দেড়-দু- ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হাতিরঝিল হয়ে যানচলাচল বন্ধ থাকে। ফলে ওইসব এলাকায় যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করে সকাল থেকেই।

বাংলাদেশীকে গলা কেটে হত্যা করেছে বিএসএফ


নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা সীমান্ত থেকে শহিদুল ইসলাম (২৮) নামে এক বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শহিদুল ইসলামকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বি এস এফ গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কলমুডাঙ্গা সীমান্তের ২৩৭ নম্বর পিলারের পাশে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত শহিদুল সাপাহার উপজেলার বলদিয়াঘাট কলমুডাঙ্গা গ্রামের গেলাম মোস্তফার ছেলে।
নওগাঁ ১৪ বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার লে: কর্ণেল রফিকুল হাসান নিহত শহিদুলের সংঙ্গীদের বরাত দিয়ে জানান, বুধবার রাতে শহিদুল সহ ১০/১২ জন গরু আনতে সীমান্তের ওপারে যান। গরু নিয়ে ভোরে ফেরার পথে ভারতের ৩১ বিএসএফ’র একটি টহল দল তাদের ধাওয়া করলে অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও শহিদুল ধরা পড়েন।
তার সংঙ্গীরা বলেন, বিএসএফ সদস্যরা শহিদুলকে ধরার পর হাসুয়া দিয়ে গলায় কোপ মারেন এবং তাকে ওই অবস্থায় ২৩৭ নম্বর পিলারের পাশে ফেলে রেখে যায়।
পরে বিজিবি সদস্যরা সেখানে গিয়ে শহিদুলের লাশ দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন। সাপাহার থানা পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে শহিদুলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
১৪ বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার লে: কর্ণেল রফিকুল হাসান আরো জানান, আমরা ত্যাৎক্ষনিকভাবে বিএসএফ’র কাছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি। তবে বিএসএফ’র দাবি তারা শহিদুলকে হত্যা করেনি। চোরাকারবারিদের আভন্ত্যরীন দ্বন্দ্ব এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। এ নিয়ে আলোচনার জন্য পতাকা বৈঠক আহবান করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা। 

সেই হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার


ঢাকা : রাজধানীর কদমতলী এলাকায় প্রকাশ্যে ইব্রাহিম নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এবার কদমতলী থানা ছাত্রলীগ সভাপতি মনির হোসেন মুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

একই ঘটনায় এর আগে তার সহযোগি শুক্কুরকে অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেফতার্ তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ বুধবার গভীর রাতে মুনকে গ্রেফতার করে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে নেয়া হলে ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুলি করার কথা স্বীকার না করলেও ওই সময়ে শুক্কুরের সঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকার কথা স্বীকার করেছেন মুন।

উল্লেখ্য, গত ৬জুন জুরাইনে ইব্রাহিম নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের দায়ের করা মামলার অন্যতম এই ছাত্রলীগ নেতা মুন। 

আসুন জেনে নিই, পবিত্র জমজম কূপের কিছু অজানা তথ্য


ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র কাবার দ্বারপ্রান্তে অবস্হিত কুপকে জমজম কুপ বলে। এই কুপ আল্লাহতায়ালার কুদরতের একটি মহা নিদর্শন। পৃথিবীতে যত আশ্চর্যজনক সৃষ্টি রয়েছে জমজম কুপ তার অন্যতম। এর পানি কখনো নিঃশেষ হয় না। হজরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বিবি হাজেরা ও পুত্র ইসমাঈলকে মক্কার বিজন এলাকায় রেখে যাবার পর যখন তাদের সামান্য খাবার নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল এবং দুগ্ধপোষ্য শিশু ইসমাঈল (আ.) তৃষ্ণায় ছটফট করছিলেন, তখন হাজেরা (আ.) ব্যাকুল হয়ে সাফা-মারওয়ায় ছোটাছুটি করছিলেন। আল্লাহ তার এ ব্যাকুলতা দেখে জিবরাঈল (আ.)-কে পাঠিয়ে দেন এবং জিবরাঈল (আ.) স্বীয় পাখার আঘাতে ইসমাঈল (আ.)-এর পায়ের নিচ থেকে এ কুদরতি ঝরনা নিঃসরণ করেন। হাজেরা (আ.) ফিরে এসে যখন দেখলেন-শিশু ইসমাঈল শুয়ে আছে, আর তার পাশ দিয়ে পানির ফোয়ারা ছুটে চলেছে; তখন তিনি চারদিকে বাঁধ দিয়ে আটকাতে লাগলেন। ধারণা করা হয়, হাজেরা (আ.) যদি ওই দিন পানিকে না আটকাতেন তাহলে পুরো দুনিয়া সয়লাব হয়ে যেত।

আসুন জেনে নিই পবিত্র এই কূপ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য

১) আল্লাহ তা’লার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছরপূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল।
২) ভারী মোটরেরসাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটারপানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিকসৃষ্টির সূচনাকালেরন্যায়।
৩) পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি,জন্মায়নিকোন ছত্রাক বা শৈবাল।
৪) সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে,মাত্র ১১ মিনিটেই আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।
৫) এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি,সৃষ্টির পর থেকে একইরকম আছে এরপানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মউসুমে ব্যবহার ক’য়েক গুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।
৬) সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ওএর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।
৮) এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়ামও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমানঅন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এইপানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এইপানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।
৯) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমানবেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।
১০) এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। 

চীনের সাবেক নিরাপত্তাপ্রধান ঝাউয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের সাবেক নিরাপত্তা প্রধান ঝাউ ইয়ংকাংকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তিয়ানজিন শহরের একটি আদালত।  বৃহস্পতিবার চীনা গণমাধ্যমের খবরে এ কথা জানানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত ঝাউ ইয়ংকাং আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন না বলে জানিয়েছেন।  তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১২ সালে চীনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানের পদ থেকে অবসরে যান তিনি।  এ সময় চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের একজন ছিলেন ঝাউ।

চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, তার আত্মীয়-স্বজন, প্রেমিকা ও বন্ধুদের সাহায্য করার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।  রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে করে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা দিয়েছেন তিনি।

সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝাউ একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।  অর্থের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি।  ২০১৪ সালের জুলাইয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দেয়া হয়।  

তাকে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করা।  কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির নয় সদস্যের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন।  সূত্র : বিবিসি 

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শুক্রবার


ঢাকা: আগামীকাল শুক্রবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা’১৫ এর প্রিলিমিনারি টেস্ট সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে।
স্কুল পর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২ এর পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে ১১টা এবং কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
স্কুল পর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২এ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ১৩ জন এবং কলেজ পর্যায়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার ৫শ’ জন।

সবচেয়ে পাতলা ট্যাব আনলো ডেল


 ঢাকা: যু্ক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডেল সম্প্রতি ভারতের বাজারে নতুন একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার ছেড়েছে। এটির মডেল ভেন্যু ৮৭০০। ডেল দাবী করছে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে পাতলা ট্যাবলেট। এটির আয়তন ৬.১ মিলিমিটার।
এতে আছে ৮.৪ ইঞ্চির ওএলইডি ইনফিনিটি এজ টু এজ ডিসপ্লে। ডিসপ্লের রেজুলেশন ২৫৬০x১৬৫০ পিক্সেল। ট্যাবটিতে ২.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর ইন্টেল অ্যাটম জেড৩৫০০ প্রসেসর এবং ২ জিবি র‌্যাম আছে।
ট্যাবটি অ্যানড্রয়েড ৪.৪ কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেম চালিত। এটি ৫.০ ললিপপে আপগ্রেড করে নেয়া যাবে।
এতে ১৬ বিল্টইন মেমোরি আছে। মাইক্রোএসডি মেমোরি পরবর্তীতে ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। ট্যাবটির সঙ্গে ডেল দিচ্ছে ২০ জিবি ফ্রি ড্রপবক্স ক্লাউড স্পেস।
ট্যাবটিতে ৩ টি ক্যামেরা রয়েছে। ক্যামেরাগুলো ইন্টেলের তৈরি। এতে ইন্টেল রিয়েল সেন্স স্ন্যাপশপ ডেপথ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ক্যামেরায় ঝকঝকে ছবি পাওয়া সম্ভব।
ভেন্যু ৮৭০০ ট্যাবে রয়েছে ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৪.০, মাইক্রোইউএসবি ২.০ কানেকটিভিটি। ডেল দাবী করছে ট্যাবটি একবার সম্পূর্ণ চার্জ দিলে প্রায় ১০ ঘণ্টা সচল থাকে।
ভারতের বাজারে এটির মূল্য ৩৪ হাজার ৯৯৯ রুপি। বাংলাদেশি এটায় মূল্য দাঁড়াবে ৪২ হাজার ৫৫৮ টাকা।

যে দেশে প্রতি তিনজনের একজন কোটিপতি!


বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতি পূর্ণ দেশ হিসেবে মোনাকোকে আমরা চিনি। অনেক সময় সাধারণ জ্ঞানেও এটা পড়েছি। কিন্তু পড়া বা জানা হয়নি দেশটির আরোও একটি পরিচয়। নতুন পরিচয়টি হলো দেশটির প্রতি তিনজন মানুষের একজন কোটিপতি।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক একটি স্পিয়ার্স নামক একটি আর্থিক ম্যাগাজিনের জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জরিপটিতে মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ কোটিপতি তার ওপর ভিত্তি করে একটি তালিকা তৈরি করেছে। সেখানে নগর রাষ্ট্র মোনাকো সবার ওপরে রয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, মোনাকোর ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ মানুষ কোটিপতি। মোনাকোর পরে রয়েছে জুরিখ ( ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ মানুষ কোটিপতি) তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জেনেভা (১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ মানুষ কোটিপতি)। যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরনগরী নিউইয়র্ক রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।

সমীক্ষাটির প্রস্তুতকারকরা জানান, মোনাকোতে ট্যাক্স ফ্রি থাকার কারণেই প্রায় প্রত্যেকটি নাগরিক মোটা অঙ্কের অর্থ জমানোর সুযোগ পান।

পবিত্র মাহে রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি


 মুসলিম সম্প্রদায়ের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে আগামী ১৯ জুন শুক্রবার থেকে (চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন পবিত্র রমজান মাসে ঢাকা জেলার জন্য সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রণয়ন করেছে। সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমের এই সময়সূচি ঘোষণা করেন-
পবিত্র রমজান ১৪৩৬ হিজরি মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি:-
‘শুধু ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য’
১ম ১০ দিন
০১. ১৯ জুন শুক্রবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৩৮ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু- ৩টা ৪৪ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫২ মিনিট
০২. ২০ জুন শনিবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৩৮ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু- ৩টা ৪৪ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫২ মিনিট
০৩. ২১ জুন রোববার ফজর ওয়াক্ত শুরু- ৩টা ৩৮ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু- ৩টা ৪৪ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫২ মিনিট
০৪. ২২ জুন সোমবার সাহরীর শেষ সময়- ৩ টা ৩৯ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু- ৩টা ৪৫ মিনিট, ইফতারের সময়-৬টা ৫২ মিনিট
০৫. ২৩ জুন মঙ্গলবার সাহরীর শেষ সময়- ৩টা ৩৯ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু- ৩টা ৪৫ মিনিট, ইফতারের সময়-৬টা ৫৩ মিনিট
০৬. ২৪ জুন বুধবার সাহরীর শেষ সময়- ৩টা ৩৯ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু- ৩-৪৫, ইফতারের সময়- ৬-৫৩
০৭. ২৫ জুন বৃহস্পতিবার সাহরীর শেষ সময়-৩-৩৯, ফজর ওয়াক্ত শুরু- ৩টা ৪৫ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
০৮. ২৬ জুন শুক্রবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪০ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু- ৩টা ৪৬ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
০৯. ২৭ জুন শনিবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪০ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৪৬ মিনিট, ইফতারের সময়-৬টা ৫৩ মিনিট
১০. ২৮ জুন রোববার সাহরীর শেষ সময়- ৩টা ৪১ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৪৭ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
২য় ১০ দিন
১১. ২৯ জুন সোমবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪১ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৪৭ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
১২. ৩০ জুন মঙ্গলবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪২ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৪৮ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
১৩. ১ জুলাই বুধবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪২ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৪৮ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৪ মিনিট
১৪. ২ জুলাই বৃহস্পতিবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪২ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৪৮ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৪ মিনিট
১৫. ৩ জুলাই শুক্রবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৩ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৪৯ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৪ মিনিট
১৬. ৪ জুলাই শনিবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৩ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৪৯ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৪ মিনিট
১৭. ৫ জুলাই রোববার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৪ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫০ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৪ মিনিট
১৮. ৬ জুলাই সোমবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৪ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫০ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৪ মিনিট
১৯. ৭ জুলাই মঙ্গলবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৫ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫১ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৪ মিনিট
২০. ৮ জুলাই বুধবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৫ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫১ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৪ মিনিট
৩য় ১০ দিন
২১. ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৬ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫২ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
২২. ১০ জুলাই শুক্রবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৬ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫২ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
২৩. ১১ জুলাই শনিবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৭ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫৩ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
২৪. ১২ জুলাই রোববার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৮ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫৪ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
২৫. ১৩ জুলাই সোমবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৮ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫৪ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
২৬. ১৪ জুলাই মঙ্গলবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৯ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫৫ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
২৭. ১৫ জুলাই বুধবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৪৯ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫৫ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫৩ মিনিট
২৮. ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৫০ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫৬ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫২ মিনিট
২৯. ১৭ জুলাই শুক্রবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৫০ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫৬ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫২ মিনিট
৩০. ১৮ জুলাই শনিবার সাহরীর শেষ সময়-৩টা ৫১ মিনিট, ফজর ওয়াক্ত শুরু-৩টা ৫৭ মিনিট, ইফতারের সময়- ৬টা ৫২ মিনিট

তিন বছর বয়সেই কোরআনে হাফেজ ‘জাহরা হোসাইন’

 ইসলাম ডেস্ক: আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’  কোরআন মুখস্থ করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সে ওই দেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

আমরা সবাই জানি, আল কোরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব। অতএব, কিয়ামত পর্যন্ত একে অবিকৃত ও সুসংরক্ষিত রাখা হবে। এতে কোনো ধরনের বিকৃতি ঘটবে না, এখানে পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এটা এ কারণে নিশ্চিত হয়েছে যে কোরআন শরিফ সংরক্ষণের দায়িত্ব খোদ আল্লাহতায়ালা নিজের দায়িত্বে রেখে দিয়েছেন। তিনি আমাদের মতো মানুষের মাধ্যমেই এর সংরক্ষণ করবেন এবং তা করছেনও।

প্রতিদিন হাজার হাজার মাসুম বাচ্চা কোরআন শরিফের হাফেজ হচ্ছে। গোটা দুনিয়ার মুদ্রিত সব কোরআন একসঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দিলেও লাখো হাফেজের কণ্ঠ থেকে অবিকৃত কোরআন শরিফের সুরেলা আওয়াজে মুখরিত হবে তামাম দুনিয়া। সত্যিই এটা এক বিরল বিষয়। এ ধরনের নজির অন্য কোনো গ্রন্থের ক্ষেত্রে কল্পনাও করা যায় না।

আল্লাহতায়ালা কর্তৃক কোরআন সংরক্ষণের এ ব্যবস্থাপনার নজির বিশ্ববাসী প্রায়ই দেখে। তেমনি এক অনন্য উদাহরণ আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’। এই বয়সেই সে পবিত্র কোরআনে কারিমের ৩৭টি সূরা মুখস্থ করে সেদেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসবাসরত কনিষ্ঠ এই কোরআনের হাফেজ সম্পর্কে তার মা বলেছেন, ‘গর্ভকালীন সময়ে আমি প্রতিনিয়ত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতাম এবং উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনতাম।’ জাহরার মা আরও বলেন, ‘জাহরার জন্মের পর তার ঘুমের সময়ে ঘুমপাড়ানি ছড়ার জায়গায় আমি পবিত্র কোরআনের ছোট ছোট সূরাগুলো পড়তাম।

এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু এক সময় আমি বুঝতে পারলাম, জাহরা মাত্র এক বছর বয়সেই আমার সাথে কোরআনের আয়াতগুলো পুনরাবৃত্তি করছে। আর এর ফলে তার জন্য কোরআনের অন্যান্য আয়াত ও সূরাগুলো আমি পড়তে আমি আগ্রহী হই। এভাবেই তিন বছরের ফুটফুটে মেয়ে জাহরা কোনো শিক্ষকের নিকট প্রশিক্ষণ ছাড়া ৩৭টি সূলা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।’

জাহরার দাদা হাজী হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, ‘জাহরার কোরআন মুখস্থ করার জন্য তার মা’র ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কেননা, জাহরার জন্মের পূর্বে থেকেই তার মা সবসময় কোরআন তেলাওয়াত করত এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দানকৃত জাহরার এ প্রতিভার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, জাহরার জন্মের পর থেকে তার ঘুম পাড়ানোর জন্য কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়েছে এবং সে খুব মনোযোগ সহকারে শুনতো। এক বছর বয়সে জাহরা একা একাই সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস বলত।

জাহরার দাদা এ সাফল্যকে মহান আল্লাহর দান হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এটা আল্লাহর করুণা যে, এক বছরের শিশু কোরআনের সূরা মুখস্থ করেছে। অথচ তার বয়সের অন্যান্য বাচ্চারা শুধুমাত্র ‘বাবা’ এবং ‘মা’ বলা শেখে। জাহরার বয়স যখন দু’বছর পূর্ণ হয় তখন সে কোরআনের ৮টি সূরা মুখস্থ করে এবং বর্তমানে তার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সে তাজবিদ সহকারে পবিত্র কোরআনের ৩৭টি সূরা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসলাম ডেস্ক: আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’  কোরআন মুখস্থ করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সে ওই দেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

আমরা সবাই জানি, আল কোরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব। অতএব, কিয়ামত পর্যন্ত একে অবিকৃত ও সুসংরক্ষিত রাখা হবে। এতে কোনো ধরনের বিকৃতি ঘটবে না, এখানে পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এটা এ কারণে নিশ্চিত হয়েছে যে কোরআন শরিফ সংরক্ষণের দায়িত্ব খোদ আল্লাহতায়ালা নিজের দায়িত্বে রেখে দিয়েছেন। তিনি আমাদের মতো মানুষের মাধ্যমেই এর সংরক্ষণ করবেন এবং তা করছেনও।

প্রতিদিন হাজার হাজার মাসুম বাচ্চা কোরআন শরিফের হাফেজ হচ্ছে। গোটা দুনিয়ার মুদ্রিত সব কোরআন একসঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দিলেও লাখো হাফেজের কণ্ঠ থেকে অবিকৃত কোরআন শরিফের সুরেলা আওয়াজে মুখরিত হবে তামাম দুনিয়া। সত্যিই এটা এক বিরল বিষয়। এ ধরনের নজির অন্য কোনো গ্রন্থের ক্ষেত্রে কল্পনাও করা যায় না।

আল্লাহতায়ালা কর্তৃক কোরআন সংরক্ষণের এ ব্যবস্থাপনার নজির বিশ্ববাসী প্রায়ই দেখে। তেমনি এক অনন্য উদাহরণ আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’। এই বয়সেই সে পবিত্র কোরআনে কারিমের ৩৭টি সূরা মুখস্থ করে সেদেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসবাসরত কনিষ্ঠ এই কোরআনের হাফেজ সম্পর্কে তার মা বলেছেন, ‘গর্ভকালীন সময়ে আমি প্রতিনিয়ত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতাম এবং উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনতাম।’ জাহরার মা আরও বলেন, ‘জাহরার জন্মের পর তার ঘুমের সময়ে ঘুমপাড়ানি ছড়ার জায়গায় আমি পবিত্র কোরআনের ছোট ছোট সূরাগুলো পড়তাম।

এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু এক সময় আমি বুঝতে পারলাম, জাহরা মাত্র এক বছর বয়সেই আমার সাথে কোরআনের আয়াতগুলো পুনরাবৃত্তি করছে। আর এর ফলে তার জন্য কোরআনের অন্যান্য আয়াত ও সূরাগুলো আমি পড়তে আমি আগ্রহী হই। এভাবেই তিন বছরের ফুটফুটে মেয়ে জাহরা কোনো শিক্ষকের নিকট প্রশিক্ষণ ছাড়া ৩৭টি সূলা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।’

জাহরার দাদা হাজী হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, ‘জাহরার কোরআন মুখস্থ করার জন্য তার মা’র ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কেননা, জাহরার জন্মের পূর্বে থেকেই তার মা সবসময় কোরআন তেলাওয়াত করত এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দানকৃত জাহরার এ প্রতিভার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, জাহরার জন্মের পর থেকে তার ঘুম পাড়ানোর জন্য কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়েছে এবং সে খুব মনোযোগ সহকারে শুনতো। এক বছর বয়সে জাহরা একা একাই সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস বলত।

জাহরার দাদা এ সাফল্যকে মহান আল্লাহর দান হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এটা আল্লাহর করুণা যে, এক বছরের শিশু কোরআনের সূরা মুখস্থ করেছে। অথচ তার বয়সের অন্যান্য বাচ্চারা শুধুমাত্র ‘বাবা’ এবং ‘মা’ বলা শেখে। জাহরার বয়স যখন দু’বছর পূর্ণ হয় তখন সে কোরআনের ৮টি সূরা মুখস্থ করে এবং বর্তমানে তার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সে তাজবিদ সহকারে পবিত্র কোরআনের ৩৭টি সূরা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে। - See more at: http://bangla.mtnews24.com/post.php?id=50207&page=5#sthash.CscIyYhH.dpuf
ইসলাম ডেস্ক: আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’  কোরআন মুখস্থ করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সে ওই দেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

আমরা সবাই জানি, আল কোরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব। অতএব, কিয়ামত পর্যন্ত একে অবিকৃত ও সুসংরক্ষিত রাখা হবে। এতে কোনো ধরনের বিকৃতি ঘটবে না, এখানে পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এটা এ কারণে নিশ্চিত হয়েছে যে কোরআন শরিফ সংরক্ষণের দায়িত্ব খোদ আল্লাহতায়ালা নিজের দায়িত্বে রেখে দিয়েছেন। তিনি আমাদের মতো মানুষের মাধ্যমেই এর সংরক্ষণ করবেন এবং তা করছেনও।

প্রতিদিন হাজার হাজার মাসুম বাচ্চা কোরআন শরিফের হাফেজ হচ্ছে। গোটা দুনিয়ার মুদ্রিত সব কোরআন একসঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দিলেও লাখো হাফেজের কণ্ঠ থেকে অবিকৃত কোরআন শরিফের সুরেলা আওয়াজে মুখরিত হবে তামাম দুনিয়া। সত্যিই এটা এক বিরল বিষয়। এ ধরনের নজির অন্য কোনো গ্রন্থের ক্ষেত্রে কল্পনাও করা যায় না।

আল্লাহতায়ালা কর্তৃক কোরআন সংরক্ষণের এ ব্যবস্থাপনার নজির বিশ্ববাসী প্রায়ই দেখে। তেমনি এক অনন্য উদাহরণ আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’। এই বয়সেই সে পবিত্র কোরআনে কারিমের ৩৭টি সূরা মুখস্থ করে সেদেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসবাসরত কনিষ্ঠ এই কোরআনের হাফেজ সম্পর্কে তার মা বলেছেন, ‘গর্ভকালীন সময়ে আমি প্রতিনিয়ত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতাম এবং উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনতাম।’ জাহরার মা আরও বলেন, ‘জাহরার জন্মের পর তার ঘুমের সময়ে ঘুমপাড়ানি ছড়ার জায়গায় আমি পবিত্র কোরআনের ছোট ছোট সূরাগুলো পড়তাম।

এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু এক সময় আমি বুঝতে পারলাম, জাহরা মাত্র এক বছর বয়সেই আমার সাথে কোরআনের আয়াতগুলো পুনরাবৃত্তি করছে। আর এর ফলে তার জন্য কোরআনের অন্যান্য আয়াত ও সূরাগুলো আমি পড়তে আমি আগ্রহী হই। এভাবেই তিন বছরের ফুটফুটে মেয়ে জাহরা কোনো শিক্ষকের নিকট প্রশিক্ষণ ছাড়া ৩৭টি সূলা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।’

জাহরার দাদা হাজী হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, ‘জাহরার কোরআন মুখস্থ করার জন্য তার মা’র ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কেননা, জাহরার জন্মের পূর্বে থেকেই তার মা সবসময় কোরআন তেলাওয়াত করত এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দানকৃত জাহরার এ প্রতিভার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, জাহরার জন্মের পর থেকে তার ঘুম পাড়ানোর জন্য কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়েছে এবং সে খুব মনোযোগ সহকারে শুনতো। এক বছর বয়সে জাহরা একা একাই সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস বলত।

জাহরার দাদা এ সাফল্যকে মহান আল্লাহর দান হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এটা আল্লাহর করুণা যে, এক বছরের শিশু কোরআনের সূরা মুখস্থ করেছে। অথচ তার বয়সের অন্যান্য বাচ্চারা শুধুমাত্র ‘বাবা’ এবং ‘মা’ বলা শেখে। জাহরার বয়স যখন দু’বছর পূর্ণ হয় তখন সে কোরআনের ৮টি সূরা মুখস্থ করে এবং বর্তমানে তার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সে তাজবিদ সহকারে পবিত্র কোরআনের ৩৭টি সূরা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে। - See more at: http://bangla.mtnews24.com/post.php?id=50207&page=5#sthash.CscIyYhH.dpuf
ইসলাম ডেস্ক: আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’  কোরআন মুখস্থ করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সে ওই দেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

আমরা সবাই জানি, আল কোরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব। অতএব, কিয়ামত পর্যন্ত একে অবিকৃত ও সুসংরক্ষিত রাখা হবে। এতে কোনো ধরনের বিকৃতি ঘটবে না, এখানে পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এটা এ কারণে নিশ্চিত হয়েছে যে কোরআন শরিফ সংরক্ষণের দায়িত্ব খোদ আল্লাহতায়ালা নিজের দায়িত্বে রেখে দিয়েছেন। তিনি আমাদের মতো মানুষের মাধ্যমেই এর সংরক্ষণ করবেন এবং তা করছেনও।

প্রতিদিন হাজার হাজার মাসুম বাচ্চা কোরআন শরিফের হাফেজ হচ্ছে। গোটা দুনিয়ার মুদ্রিত সব কোরআন একসঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দিলেও লাখো হাফেজের কণ্ঠ থেকে অবিকৃত কোরআন শরিফের সুরেলা আওয়াজে মুখরিত হবে তামাম দুনিয়া। সত্যিই এটা এক বিরল বিষয়। এ ধরনের নজির অন্য কোনো গ্রন্থের ক্ষেত্রে কল্পনাও করা যায় না।

আল্লাহতায়ালা কর্তৃক কোরআন সংরক্ষণের এ ব্যবস্থাপনার নজির বিশ্ববাসী প্রায়ই দেখে। তেমনি এক অনন্য উদাহরণ আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’। এই বয়সেই সে পবিত্র কোরআনে কারিমের ৩৭টি সূরা মুখস্থ করে সেদেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসবাসরত কনিষ্ঠ এই কোরআনের হাফেজ সম্পর্কে তার মা বলেছেন, ‘গর্ভকালীন সময়ে আমি প্রতিনিয়ত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতাম এবং উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনতাম।’ জাহরার মা আরও বলেন, ‘জাহরার জন্মের পর তার ঘুমের সময়ে ঘুমপাড়ানি ছড়ার জায়গায় আমি পবিত্র কোরআনের ছোট ছোট সূরাগুলো পড়তাম।

এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু এক সময় আমি বুঝতে পারলাম, জাহরা মাত্র এক বছর বয়সেই আমার সাথে কোরআনের আয়াতগুলো পুনরাবৃত্তি করছে। আর এর ফলে তার জন্য কোরআনের অন্যান্য আয়াত ও সূরাগুলো আমি পড়তে আমি আগ্রহী হই। এভাবেই তিন বছরের ফুটফুটে মেয়ে জাহরা কোনো শিক্ষকের নিকট প্রশিক্ষণ ছাড়া ৩৭টি সূলা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।’

জাহরার দাদা হাজী হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, ‘জাহরার কোরআন মুখস্থ করার জন্য তার মা’র ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কেননা, জাহরার জন্মের পূর্বে থেকেই তার মা সবসময় কোরআন তেলাওয়াত করত এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দানকৃত জাহরার এ প্রতিভার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, জাহরার জন্মের পর থেকে তার ঘুম পাড়ানোর জন্য কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়েছে এবং সে খুব মনোযোগ সহকারে শুনতো। এক বছর বয়সে জাহরা একা একাই সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস বলত।

জাহরার দাদা এ সাফল্যকে মহান আল্লাহর দান হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এটা আল্লাহর করুণা যে, এক বছরের শিশু কোরআনের সূরা মুখস্থ করেছে। অথচ তার বয়সের অন্যান্য বাচ্চারা শুধুমাত্র ‘বাবা’ এবং ‘মা’ বলা শেখে। জাহরার বয়স যখন দু’বছর পূর্ণ হয় তখন সে কোরআনের ৮টি সূরা মুখস্থ করে এবং বর্তমানে তার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সে তাজবিদ সহকারে পবিত্র কোরআনের ৩৭টি সূরা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে। - See more at: http://bangla.mtnews24.com/post.php?id=50207&page=5#sthash.j8N3gn7x.dpuf

চলুন, আমরা নামাজে যা কিছু পড়ি তার পুরো অর্থ জেনে নিই


ইসলাম ডেস্ক: আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের উপর যে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত/নামায ফরজ করেছেন তা আমরা বুঝে পড়ি না বা বোঝার চেষ্টাও করিনা(সালাত/নামায কেন এবং কীভাবে পড়বো তাও হয়তো জানি না)। হাশরের ময়দানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নামাযের হিশাবই সর্বপ্রথম নিবেন।
তাই আমাদের সকলকে নামাযের প্রতি যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। নিচে নামাযে আমরা কী পড়ি সে সম্পর্কে সংক্ষেপে তুলে ধরা হল।

১. বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। অর্থঃ পরমকরুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

২. তাকবীরে তাহরীমাঃ উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

৩.ছানাপড়াঃ উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওবিহামদিকা ওতাবারাকাছমুকা ওতাআ‘লাজাদ্দুকা ওলাইলাহাগইরুক। অর্থঃ আয়আল্লাহ! আমি তোমারই পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি তোমার প্রশংসার সহিত, বরকতময় তোমার নাম। সুউচ্চ তোমার মহিমা। এবং তুমি ভিন্ন কোন মা‘বুদনাই।

৪.আউযুবিল্লাহ পড়াঃ উচ্চারণঃ আউযুবিল্লা হিমিনাশ শায়তানির রাঝিম। অর্থঃ আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

৫. সূরায়ে ফাতিহা পড়াঃ উচ্চারণঃ (১)আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন, (২)আররাহমানির রাহিম, (৩)মালিকি ইয়াওমিদ্দিন, (৪)ইয়্যাকা না‘বুদু ওইয়্যাকা নাসতাঈন, (৫)ইহদিনাসসিরাতাল মুসতাকীম, (৬)সিরাতল্লাযিনা আনআমতা আলাইহিম, (৭)গাইরিলমাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দ—লিন।(আমীন)
অর্থঃ (১)সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, (২)যিনি সমস্ত জগতসমূহের সৃষ্টিকর্তা, রক্ষাকর্তা, পালনকর্তা। (৩)যিনি দয়াময়, অত্যন্ত দয়ালু, যিনি বড় মেহেরবান। (৪)যিনি কর্মফল দিবসের একচ্ছত্র মালিক। (৫)আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করিতেছি এবং তোমারই নিকট সাহায্য  প্রর্থনা করিতেছি। (৬)আমাদেরকে দোখাও সঠিক সরল পথ। (৭)তাদের পথ যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করিয়াছ। যারা তোমার অনুগ্রহের পাত্র হইয়াছেন। তাদের পথ নয় যাদের প্রতি তোমার পক্ষ থেকে গযব নাযিল হয়েছে। বিঃ দ্রঃ উক্ত সূরা(ফাতিহা) শেষ করার পর আমীন বলতে হবে এবং সূরা ফাতিহা তথা আলহামদুর সাথে অন্য সূরা মিলানো ওয়াজিব। তবে ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকাতে তা নির্দিষ্ট। সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর যে ১০ টি সূরা আমরা অধিক সময় পাঠ করে থাকি, সেগুলো অর্থসহ পেতে ভিজিট করুন।

৬. রুকুর তাসবীহ পড়াঃ উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম।
অর্থঃ আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি।

৭. রুকু হইতে উঠিবার সময়ের তাসবীহ পড়াঃ উচ্চারণঃ সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ
অর্থঃ যে আল্লাহর প্রশংসা করিয়াছে, আল্লাহ তাহার প্রশংসা কবুল করিয়াছেন।

৮. রুকু থেকে উঠে দাড়িয়ে থেকে পড়তে হবেঃ উচ্চারণঃ রাব্বানা লাকাল হামদ হামদান কাছীরান ত্বাইয়্যেবান মুবারাকানফিহ। অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক অধিক অধিক প্রশংসা ও পবিত্রতা তোমারই। (এখানে  রাব্বানা লাকাল হামদ পর্যন্ত পড়লেও হবে।)

৯. সেজদায় তাসবীহ পড়াঃ উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা।
অর্থঃ আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি।

১০. উভয় বৈঠকে(বসা অবস্থায়) তাশাহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়াঃ উচ্চারণঃ আত্যাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওস্ সলাওয়াতু ওত্ তয়্যেবাতু আসসালামুআলাইকা আয়্যুহান্নাবিয়্যু ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু আসসালামুআলাইনা ওয়া‘লা ঈবাদিল্লাহি সসলিহিনা আশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদাং আবদুহু ওয়ারাসূলুহ।
অর্থঃ সমস্ত মৌখিক ইবাদাত, সমস্ত শারীরিক ইবাদাত এবং সমস্ত পবিত্র বিষয় আল্লাহ তা‘আলার জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি ও তাহার বরকতসমূহ নাযিল হউক। আমাদের প্রতি ও আল্লাহ তা‘আলার নেক বান্দাদের প্রতি তাঁহার শান্তি বর্ষিত হউক। আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত আর কোন মা‘বুদ নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহার বান্দা ও রাসূল।

১১.দুরুদ শরীফ পড়াঃ উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সল্লেআ‘লা মুহাম্মাদিও ও‘য়ালা আলি মুহাম্মদ কামা সল্লেইতা‘আলা ইবরাহিমা ওয়া‘লা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিকআ‘লা মুহাম্মাদিও ও‘য়ালা আলি মুহাম্মদ কামা বারাকতা‘আলা ইবরাহিমা ওয়া‘লা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি রহমত বর্ষণ কর মুহাম্মদ(সা.)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি, যেমন রহমত বর্ষণ করিয়াছ ইবরাহীম(আ.)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সন্মানিত। হে আল্লাহ! তুমি বরকত নাযিল কর মুহাম্মদ(সা.)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি, যেমন বরকত নাযিল করিয়াছ ইবরাহীম(আ.)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সন্মানিত। 

মাসিক আয় ৫৮ লাখ, বসবাস কোটি টাকার বাড়িতে তারপরও ভিক্ষুক!


আচ্ছা কোন ভিক্ষুকের মাসিক আয় ৫৮ লাখ টাকা কি আদৌ হতে পারে? শুধু কি তাই, তিনি বসবাস করেন কোটি টাকার বাড়িতে। গত বছরের এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোরণ সৃষ্টি করেছিল। ৩৭ বছর বয়স্ক ওই ভিক্ষুকের নাম সিমন রাইট। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সারাদিন ভিক্ষা করে। সে যে বাড়িতে ঘুমায় সে বাড়ির দাম তিন লাখ পাউন্ড (৩কোটি ৪৮ লাখ টাকা)!
আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়া সত্ত্বেও ভিক্ষাবৃত্তি না ছাড়ায় এই পেশাদার ভিক্ষুককে জেলে পাঠিয়েছে বৃটেনের আদালত। জানা গেছে, রাস্তার পাশে ছেঁড়া জামা পরে বসে থাকে সিমন। তার হাতের সাইনবোর্ডে লেখা থাকে, হোমলেস অ্যান্ড হাংরি। এভাবে বসে থেকেই তিনি পথচারীদের কাছ থেকে দিনে প্রায় ২০০ পাউন্ডের সমপরিমাণ টাকা পেতেন।
সারাদিন ভিক্ষা শেষে রাতে কোটি টাকার বাড়িতে ফিরে যেতেন তিনি। ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের প্রহরীরা সিমনকে লেইসেস্টার স্কয়ারে ভিক্ষা করতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। তখনই ম্যাজিস্ট্রেটরা লন্ডনের রাস্তায় ভিক্ষা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাকে আবার ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। এ কারণেই তার ঠিকানা হয়েছে কয়েদিখানায়।
এ বিষয়ে তৎকালীন কাউন্সিলর নিকি অ্যাইকেন বলেন, আমরা মানুষকে অনুরোধ করব যেন রাস্তার ভিক্ষুককে তারা সরাসরি টাকা না দেন। যদি সত্যিই কেউ দান করতে চান তবে সেটা গৃহহীন চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিন। যার মাধ্যমে সত্যিকারের ভিক্ষুকরা উপকৃত হবে। আজব এই খবরটি মনে করিয়ে দেয়ার জন্যই পুরাতন খবরটি আবার লিখলাম।

সমুদ্রের বুকে তৈরি হচ্চে এক মাইল দীর্ঘ Freedom Ship নামের ভাসমান শহর !









আউটসোর্সিংএ নতুন মাইলফলক


বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন মাইলফলক উন্মোচন হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বেসিসের সহযোগিতায় কয়েক ধরনের সেভিং অ্যাকাউন্ট ও ইউএস ডলার ইআরকিউ (এক্সপোর্টার রিটেনশন কোটা) অ্যাকাউন্ট সেবা সোমবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চালু করা হয়েছে।

আউটসোর্সিং রফতানি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি অথবা পেশাজীবীদের জন্য এটি একটি দারুণ প্রস্তাবনা। গ্রাহকরা আউটসোর্সিং সেবার মাধ্যমে পেমেন্ট হিসেবে অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স আয় করতে পারেন। আর এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে যুক্ত হতে পারে এবং দেশীয় মুদ্রা সেভিং অ্যাকাউন্টে যুক্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বেসিস আউটসোর্সিং পেশাদারদের একটি সনদপত্র প্রদান করবে যাতে এ সুযোগটি ব্যাংক থেকে পেতে সাহায্য করে।

এ সেবাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের হেড অব রিটেইল ক্লায়েন্ট আদিত্য মান্ডলই এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস)-এর প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও আবরার এ আনোয়ার তার বক্তব্যে বলেন, বেসিসের সঙ্গে সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে আমি খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশে আমরাই প্রথম আউটসোর্সিং পেশাদারদের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিচ্ছি যাতে তারা দ্রুত, নিরাপদ এবং বৈধ উপায়ে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারবে। আইটি শিল্পের জন্য অন্যতম স্তম্ভ একটি বাংলাদেশ প্রকল্পে ২০১৮ সালের মধ্যে রফতানির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারে উপনীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, এ সুবিধার জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স এবং আন্তর্জাতিক বিল আদান-প্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে হবে তা হলে এ সেবাটি স্বার্থক হবে। ব্যাংকের এ সুযোগটি অবশ্যই আউটসোর্সিং পেশাদারদের চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এ অফারটি পেতে ব্যক্তি পর্যায়ে অথবা আউটসোর্সিং কোম্পানিকে বেসিস থেকে প্রামাণিক স্বাক্ষরপত্র গ্রহণ করতে হবে। প্রামাণিক স্বাক্ষরপত্রের আবেদন ফরম পাওয়া যাবে বেসিসের www.basis.org.bd ঠিকানায়। -

বিদ্যুৎ ছাড়া যেভাবে চলবে কম্পিউটার


২০১৪ সালে কাগজের টেলিস্কোপ বানিয়ে চমকে দিয়েছিলেন বিজ্ঞানী মনু প্রকাশ। এবার এমন এক কম্পিউটার তৈরি করে ফেলেছেন তিনি যা চালু রাখতে পানির ফোঁটাই যথেষ্ট।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মনু প্রকাশের মাথায় সব সময় অভিনব আইডিয়ার ভিড়। ভারতীয় বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানীর সাম্প্রতিক আবিষ্কার ওয়াটার কম্পিউটার।

কী ভাবে কাজ করে এই কম্পিউটার?

একটি চৌম্বকক্ষেত্রে খুদে জলের ফোঁটা ধরে রাখা হয়। তার পর চৌম্বকক্ষেত্রটি ঘুরিয়ে দিলে দেখা যায় পানির ফোঁটাগুলি সমদূরত্ব রক্ষা করে একই দিশায় ঘুরতে থাকে। এই ব্যবস্থা আসলে কম্পিউটার ঘড়ি তৈরির মূল কথা। যে কোনও কম্পিউটারের কার্যক্রম নির্ভর করে তার ঘড়ির উপর। আধুনিক বেশির ভাগ গ্যাডেটস এই কম্পিউটার ক্লকের উপর নির্ভরশীল। স্মার্টফোন, ডিভিআর, বিমান চলাচল, ইন্টারনেট- আধুনিক জীবনযাপনের জন্য এই সমস্ত ডিভাইস ও সিস্টেমের মসৃণ কর্ম দক্ষতা এই ঘড়ির উপর ভিত্তি করেই তৈরি। ঘড়ি বিগড়োলে বড়সড় জটিলতা দেখা দিতে পারে যা জীবনকে সাময়িক অচল করে দিতে পারে।

কম্পিউটার ঘড়ির প্রধান কাজ যন্ত্রের বিভিন্ন কাজের পর্যায়কে ছন্দবদ্ধ করা। ঘড়ি অচল হলে ছন্দপতন ঘটে যা গোটা ব্যবস্থাকে অকেজো করে দেয়। প্রকাশ জানিয়েছেন, 'ছন্দবদ্ধতাই কম্পিউটারের মসৃণ ও নির্ভুল কাজের ভিত্তি। বিষয়টি ডিজিটাল লজিকের উপর দাঁড়িয়ে আছে।'

নেচার ফিজিক্স পত্রিকায় প্রকাশিত রচনায় এই কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি বিবৃত হয়েছে। জানা গিয়েছে, আপাতত এই কম্পিউটারের আকার কিছুটা বড় হলেও ভবিষ্যতে তা অনেক গুণ ছোট করার সম্ভাবনা রয়েছে। মৌলিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে অধ্যাপক মনু প্রকাশের এই আবিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নয়া দিশা দিয়েছে তাঁর এই কাজ। প্রকল্পে তাঁকে সাহায্য করেছেন অধ্যাপকের দুই ছাত্র।