বগুড়ার সোনাতলায় এক গৃহবধূকে খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে পেটানোর পর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বৈকুণ্ঠপুরের ওই নারী সোনাতলা সদর ইউনিয়নের সুজায়েতপুর গ্রামে ফুফুশাশুড়ির বাড়িতে গিয়ে ২৭ মে নির্যাতনের শিকার হন।
মামলার বাদী নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বলেন, তিনি পেশায় ভটভটিচালক। তাঁর স্ত্রী গৃহিণী। ১৫ দিন আগে বেসরকারি একটি
সংস্থা থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ তোলেন। এ টাকা থেকে তাঁর ফুফু সোনাতলার সুজায়েতপুর গ্রামের মোমেনা বেগম এক হাজার টাকা ধার নেন। ওই টাকা নিতে ফুফু তাঁর বাড়ি সুজায়েতপুর গ্রামে যেতে বললে ২৬ মে তাঁর স্ত্রী সেখানে যান।
গৃহবধূ বলেন, ফুফুর বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে তিনি একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। ২৭ মে ভোরের দিকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য গোলাম রব্বানী এসে তাঁকে ডাক দেন। তাঁকে অন্য একটি ঘরে ডেকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন। রাজি না হলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এ সময় লোকজন জড়ো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাম রব্বানী, শাহ আলমসহ তাঁদের লোকজন ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার অপবাদ দিয়ে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে রেলগেট এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে একটি খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তাঁকে নির্যাতন করেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ বলেন, ‘নির্যাতনের একপর্যায়ে রশি ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যাই। এ সময় নির্যাতনকারীরা বুকে পা দিয়ে কান ও গলা থেকে সোনার গয়না খুলে নেন। গোলাম রব্বানী মুঠোফোন কেড়ে নেন। তিন-চার ঘণ্টা ধরে অমানবিক নির্যাতনের পর আধামরা হলে মাথার চুল কেটে দিয়ে একটি ভ্যানে তুলে দেন। বাড়িতে পৌঁছে নির্যাতনের ঘটনা জানালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ২৮ মে আমাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।’ তিনি দাবি করেন, নির্যাতনকারীদের মধ্যে গোলাম রব্বানীর বড় ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
তবে মাহবুবুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টোটকা চিকিৎসার নামে ওই নারী ধর্মগ্রন্থ অবমাননা করায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়েছে বলে শুনেছি। তবে ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না।’
হাসপাতালে ওই নারীর কাছে থাকা ননদ ও আনসার বাহিনীর নারী সদস্য রেখা বলেন, ‘ভাবি কোনো কবিরাজি করেন না। কুফরি করার প্রশ্নই আসে না। তিনি ধারের টাকা আনতেই ফুফুর বাড়ি গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে যুবলীগের নেতা গোলাম রব্বানী তাঁর বিরুদ্ধে আনা কুপ্রস্তাবের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে নারীর মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে গোলাম রব্বানী বলেন, গয়না অন্যরা নিয়েছে। তিনি দাবি করেন, ওই নারীকে নির্যাতনের কবল থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছেন।
এ ঘটনায় গতকাল থানায় মামলা দায়েরের পর সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুন্সি ও নির্যাতনের শিকার নারীর ফুফুশাশুড়ি মোমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, সেলিম হোসেন বলেন, ‘ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হননি। এরপর
মারপিট করে তাঁর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আসামিরা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
ওসি বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য গোলাম রব্বানীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। দুজন গ্রেপ্তার হলেও গোলাম রব্বানীসহ অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বৈকুণ্ঠপুরের ওই নারী সোনাতলা সদর ইউনিয়নের সুজায়েতপুর গ্রামে ফুফুশাশুড়ির বাড়িতে গিয়ে ২৭ মে নির্যাতনের শিকার হন।
মামলার বাদী নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বলেন, তিনি পেশায় ভটভটিচালক। তাঁর স্ত্রী গৃহিণী। ১৫ দিন আগে বেসরকারি একটি
সংস্থা থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ তোলেন। এ টাকা থেকে তাঁর ফুফু সোনাতলার সুজায়েতপুর গ্রামের মোমেনা বেগম এক হাজার টাকা ধার নেন। ওই টাকা নিতে ফুফু তাঁর বাড়ি সুজায়েতপুর গ্রামে যেতে বললে ২৬ মে তাঁর স্ত্রী সেখানে যান।
গৃহবধূ বলেন, ফুফুর বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে তিনি একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। ২৭ মে ভোরের দিকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য গোলাম রব্বানী এসে তাঁকে ডাক দেন। তাঁকে অন্য একটি ঘরে ডেকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন। রাজি না হলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এ সময় লোকজন জড়ো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাম রব্বানী, শাহ আলমসহ তাঁদের লোকজন ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার অপবাদ দিয়ে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে রেলগেট এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে একটি খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তাঁকে নির্যাতন করেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ বলেন, ‘নির্যাতনের একপর্যায়ে রশি ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যাই। এ সময় নির্যাতনকারীরা বুকে পা দিয়ে কান ও গলা থেকে সোনার গয়না খুলে নেন। গোলাম রব্বানী মুঠোফোন কেড়ে নেন। তিন-চার ঘণ্টা ধরে অমানবিক নির্যাতনের পর আধামরা হলে মাথার চুল কেটে দিয়ে একটি ভ্যানে তুলে দেন। বাড়িতে পৌঁছে নির্যাতনের ঘটনা জানালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ২৮ মে আমাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।’ তিনি দাবি করেন, নির্যাতনকারীদের মধ্যে গোলাম রব্বানীর বড় ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
তবে মাহবুবুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টোটকা চিকিৎসার নামে ওই নারী ধর্মগ্রন্থ অবমাননা করায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়েছে বলে শুনেছি। তবে ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না।’
হাসপাতালে ওই নারীর কাছে থাকা ননদ ও আনসার বাহিনীর নারী সদস্য রেখা বলেন, ‘ভাবি কোনো কবিরাজি করেন না। কুফরি করার প্রশ্নই আসে না। তিনি ধারের টাকা আনতেই ফুফুর বাড়ি গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে যুবলীগের নেতা গোলাম রব্বানী তাঁর বিরুদ্ধে আনা কুপ্রস্তাবের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে নারীর মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে গোলাম রব্বানী বলেন, গয়না অন্যরা নিয়েছে। তিনি দাবি করেন, ওই নারীকে নির্যাতনের কবল থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছেন।
এ ঘটনায় গতকাল থানায় মামলা দায়েরের পর সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুন্সি ও নির্যাতনের শিকার নারীর ফুফুশাশুড়ি মোমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, সেলিম হোসেন বলেন, ‘ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হননি। এরপর
মারপিট করে তাঁর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আসামিরা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
ওসি বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য গোলাম রব্বানীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। দুজন গ্রেপ্তার হলেও গোলাম রব্বানীসহ অন্যরা পলাতক রয়েছেন।