Monday, June 29, 2015

আসছে জাতীয় পরিচয় পত্রের 'স্মার্ট' রূপ



নতুন রুপে আরো স্মার্ট হয়ে আসছে জাতীয় পরিচয় পত্র। স্মার্টকার্ড নামে দশ সংখ্যার এই নতুন এই জাতীয় পরিচয় পত্রে আগের মত ১৩ কিংবা ১৬ ডিজিটের লম্বা লাইন আর রাখা হচ্ছে না। দেখতে অনেকটা ব্যাংকের এটিএম কার্ডের আদলেই তৈরি করা হচ্ছে এটিকে। তথ্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে অনেক। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক মিডিয়াকে জানানো হয় বিষয়গুলি। চলতি বছরেই নাগরিকদের হাতে এই স্মার্ট কার্ড তুলে দিতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দেশের নয় কোটি ৬২ লাখ ভোটারকেই দেয়া হবে এই স্মার্ট কার্ড। পাশাপাশি দেয়া হবে যাদের বয়স ইতোমধ্যে পনেরোতে এসে পড়েছে। এজন্য আগামী ১৫ জুলাই থেকে পনেরো বছর বয়সীদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রমে নেমে পড়বে ইসি। দশ ডিজিটের এই স্মার্ট কার্ডটিই বাংলাদেশের নাগরিকত্বের প্রাথমিক প্রমান বহন করবে। স্মাট কার্ডের ১০ সংখ্যার নাম্বারটি ব্যবহার করে দেশের একজন নাগরিকে মৃত্যু পর্যন্ত নাগরিকের সব রকমের সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবে।
স্মার্ট কার্ডের দশ সংখ্যার মধ্যে শেষ সংখ্যাটি ‘চেকসাম’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। দশ ডিজিটের প্রথমে কোন জিরো থাকবে না এবং একই ডিজিট চারবারের অধিক ব্যবহারও হবে না। স্মার্ট কার্ডের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবহৃত সংখ্যাকে ক্রমানুসারে বসাতে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে সিইসি। পূর্বের চেয়ে সম্পূর্ণই আলাদা প্রকৃতির একটি নাগরিক পরিচয় পত্র হবে এটি। বর্তমান পরিচয়পত্রে স্বামী- স্ত্রীর নাম লিখার অপশন থাকলেও নতুন এনআইডি কার্ডে দৃশ্যমান থাকবে না সে অপশন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে স্বামী স্ত্রী পরিবর্তনশীল। এ সম্পর্কগুলো যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে। তবে কার্ডের যে মাইক্রোচিপস রয়েছে তাতে উল্লেখ থাকবে সব তথ্য। পিতা মাতার অপশনটি আগেরটির মতই দৃশ্যমান রাখা হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজী রকিবুদ্দীন আহমদ নতুন এই স্মার্টকার্ডের সুবিধা সম্পর্কে বলেন, নতুন এনআইডি কার্ডধারী একজন নাগরিক দেশের মোট পঁচিশটি কাজে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি সব অনলাইন সুবিধা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, সম্পত্তি কেনাবেচা, টিআইএন প্রাপ্তি, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, ই-পাসপোর্ট, ব্যাংক হিসাব খোলা, ব্যাংক ঋণগ্রহণ , সরকারি ভাতা উত্তোলন, সহায়তা প্রাপ্তি, বিআইএন, শেয়ার-বিও একাউন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বীমা স্কিম, ই-গভর্নেন্স, গ্যাস-বিদ্যুত্ সংযোগ, মোবাইল সংযোগ, হেলথ কার্ড, ই ক্যাশ, ব্যাংক লেনদেন ও শিক্ষার্থীদের ভর্তির কাজ ছাড়াও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ।